মোটরসাইকেলে হাত দেয়া নিয়ে রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি


RU Correspondent | Published: 2023-03-30 02:45:07 BdST | Updated: 2024-03-29 17:43:05 BdST

মোটরসাইকেলের ওপর হাত রাখা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে মারধর করেছে হল শাখা ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতাকর্মীরা। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় হলের গেটে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিকের বাইকে হাত রাখে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইজাজুল ইসলাম মুন্না। সেসময় রাথিক মন্নার সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে এবং মুন্নাকে বলে ‘ক্যাম্পাসে এত সাইকেল, মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে, তুই কি আমার মোটরসাইকেল চুরি করার চিন্তা করছিস’। তখন বিষয়টা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এরপর দুপুর ৩টার দিকে মুন্নার সঙ্গে হলগেটে আবার রাথিকের দেখা হয়। তখন মুন্না রাথিককে সকালের আচরণের কারণ জানতে চায়। আবার একই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে রাথিকের বাইক পড়ে যায়। তখন রাথিক মুন্নাকে মারার জন্য তেড়ে আসে। এ সময় মুন্নার সঙ্গে থাকা আরও ৭-৮ জন কর্মী মিলে রাথিককে মারধর করে।

তাৎক্ষণিক রাথিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তাকে মারধরের বিষয়টি অবহিত করে। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু ও বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলফাত সায়েম জেমসহ ১০-১২ নেতা কর্মী প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের রুমের সামনে গিয়ে মুন্নাকে মারধর করেন। মুন্না আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মাদার বখশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিক বলেন, সামান্য একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছে। মারামারির কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি।

মুন্নাকে মারধর করতে দেখা গেলেও আলফাত সায়েম জেমস বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মাদার বখশ হলে একটা ঝামেলা হচ্ছে জানতে পেরে আমরা স্বাভাবিকভাবে সব হলের সভাপতি এবং সাধারণ-সম্পাদক সেখানে উপস্থিত হই। পরবর্তীতে সেখানে তেমন কোনো বড় বিষয় লক্ষ্য করিনি, কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, আমাদের কর্মীদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছে। আমি পরে দু’পক্ষকে ডেকে মীমাংসা করে দিয়েছি বিষয়টি।

এ বিষয়ে মাদার বখশ হলের প্রাধ্যক্ষ শামীম হোসেন বলেন, আমি লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তাদের সাংগঠনিক ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। তারা বলেছেন, তারাই বিষয়টি দেখবেন।

//