রাবির জিয়া হলের ক্যান্টিনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ


RU Correspondent | Published: 2023-09-14 02:32:51 BdST | Updated: 2024-05-17 13:52:15 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলে খাবারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্যান্টিনে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় হলটিতে আন্দোলন করেন তারা। পরে হলের মেইন গেটে এসে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

জানা গেছে, এর আগেও কয়েক দফা হল প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ক্যান্টিন মালিককে খাবারের দাম কমানোর দাবি জানান হলের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কথায় কর্ণপাত না করে বেশি দামেই ক্যান্টিন চালাচ্ছিলেন ক্যান্টিন মালিক। তবে খাবারের দাম বেশি নিলেও মান যথেষ্ট খারাপ বলে জানান শিক্ষার্থীরা। খাবারের মান ভালো করার কথা জানালে ক্যান্টিন মালিক খাবারের মান বৃদ্ধিতেও কোনো নজর দেননি। ফলে জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা আজ সকাল ১০টায় হলের টিভি রুমে খাবারের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনায় বসেন। পরে খাবারের দাম না কমানো পর্যন্ত তারা ক্যান্টিনে তালা মেরে আন্দোলন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে, ক্যান্টিন মালিক সাইদুর রহমান হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীকে বিনা টাকায় খাওয়ান। তাদের মদদেই তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খাবারের দাম বেশি রাখেন বলে হলের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বাপ্পি বলেন, আমরা কয়েকবার ক্যান্টিনের খাবারের দাম কমানোর কথা মালিককে অবহিত করেছি। কিন্তু তিনি খাবারের দামও বেশি নেন আবার খাবারের মানও খুব খারাপ। ফলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি দাম না কমানো পর্যন্ত অবস্থান করবো।

জিয়াউর রহমান হলের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ক্যান্টিন মালিককে একাধিকবার বুঝিয়েছি কিন্তু তিনি আমাদের কথা শুনেননি। আমরা এটাও বলেছি অন্য ক্যান্টিন নির্দিষ্ট দামে পারলে আপনি পারবেন না কেন? কিন্তু তিনি আমাদের কোনো কথা শুনছেন না। তাই আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি।

এ বিষয়ে হল ক্যান্টিনের মালিক সাইদুর রহমান বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেই মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারের যে অবস্থা তাতে এত কম মূল্যে খাবার দেওয়া সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, আমি এক প্লেট ভাতের সঙ্গে আলু ভর্তা, ডাল, সবজি দিই। তাই অন্য হলের খাবারের মূল্যের সঙ্গে আমাদের ক্যান্টিনের মূল্যের সামঞ্জস্য নেই। বর্তমানে শ্রমিকের খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে সব মিলিয়ে আমাদের মূল্য বৃদ্ধি করতে হয়েছে। এর কমে আমার পক্ষে ক্যান্টিন চালানো সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আমি রাজশাহী মেডিকেল থেকে হলে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে দ্রুত সমাধান করা হবে।