রাবিতে ভারতের ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ


RU Correspondent | Published: 2024-08-22 20:14:27 BdST | Updated: 2024-10-13 19:58:29 BdST

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভারতের ডম্বুর বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২২আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মেশকাত চৌধুরী মিশু বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে আন্তর্জাতিক নদীগুলো আছে তার পানি ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। এছাড়া ইতোপূর্বে ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে ভারতের যে অন্যায্য ও গোপন চুক্তি হয়েছিল সেটি দ্রুত বাতিল করতে হবে। দেশের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনো বাঁধ খুলে দেওয়া যাবে না।

আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ বলেন, ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক নেই। উগ্র, ফ্যাসিস্ট, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সেখানে শাসন করছে। তারা যেভাবে আমাদের শোষণ করেছে তার অন্যতম একটি হলো নদীর পানি শোষণ। আজ এখানে তরুণ প্রজন্ম যেভাবে দেশপ্রেমের চেতনায় জেগে উঠেছে। কতটা দূরদর্শী ছিল আবরার। এ ভারত নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করায় তাকে ফ্যাসিস্টদের দোসরা মেরে ফেলে। সন্ত্রাসীরা দেশের প্রতিটা জায়গাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ক্যান্টনমেন্ট বানিয়ে ফেলেছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকিব বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি এবং একই সঙ্গে এ রাষ্ট্রকে ভারতের অলিখিত কলোনিতে পরিণত করেছিল। কাজটি তারা করেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা সঙ্গে কোনো আধিপত্যবাদ চলে না। কোনো জাতি কখনো আধিপত্যকে মেনে নেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেনি। ভারত সরকার কী শেখ হাসিনার বন্ধু হয়ে থাকতে চায় নাকি বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু হয়ে থাকতে চায়। যদি শেখ হাসিনার বন্ধু হিসেবে বেছে নেন তাহলে বাংলাদেশর জনতার শত্রুতাকে তাকে বেছে নিতে হবে। এর ফলে ভারত শান্তি পাবে না যার ক্রয় করার আত্মশক্তি আমরা ২০২৪ সালে অর্জন করেছি।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় একহাজার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা যায়।