ক্যাম্পাসে থাকা ৫৫টি কুকুর ও ২৫টি বিড়ালকে র্যাবিস টিকা প্রদান করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দেশের প্রথম র্যাবিসমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণা করা হয়েছে। আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এবং ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগ যৌথভাবে ক্যাম্পাসের কুকুর ও বিড়ালদের র্যাবিস টিকা প্রদান কর্মসূচি পালন করেন।
গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ওয়ার্ল্ড র্যাবিস ডে উপলক্ষ্যে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
ওইদিন সকালে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এনিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় দুইটি দক্ষ দল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হল, পশ্চিম পাড়া, স্টেডিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, পরিবহন মার্কেট, স্টেশন বাজার, চারুকলা ও বধ্যভূমি অঞ্চলে ৫৫টি কুকুর ও ২৫টি বিড়ালকে র্যাবিস টিকা প্রদান করে। ফলশ্রুতিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দেশের প্রথম র্যাবিসমুক্ত ক্যাম্পাসে পরিণত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, প্রাণিপ্রেমী শিক্ষক এবং অ্যালামনাইদের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল ক্যাম্পাসকে র্যাবিসমুক্ত করা, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং প্রাণিকল্যাণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে প্রশাসনিক ভবন থেকে একটি র্যাবিস সচেতনতা র্যালি ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম আয়োজন করা হয়। কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আমিরুল ইসলাম, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোজাফফর হোসেন, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মইজুর রহমান, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ হাসানসহ অন্যান্য শিক্ষক ও প্রশাসনের সদস্যরা।
র্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে প্যারিস রোড ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দিয়ে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ভবনের সামনে শেষ হয়। র্যালি শেষে আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটি-এর উপদেষ্টা মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ হাসানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন এবং ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোজাফফর হোসেন একটি বিড়ালকে র্যাবিস টিকা প্রদান করে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের সূচনা করেন।
ওই দিন টিকাদান কার্যক্রম এবং লিফলেট বিতরণ করেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মনে করেন, এ উদ্যোগটি জনস্বাস্থ্য ও প্রাণিকল্যাণকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে, এবং ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে এই ধরনের উদ্যোগ পরিচালনা করা হবে।