ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, সংস্কার দাবির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক-বিশিষ্টজনদের নিয়ে নতুন সিন্ডিকেট গঠনের দাবি জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে গতকাল শনিবার ১১টি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বৈঠক করেন। এ সময় তাঁরা ওই দাবি জানান।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছাত্রনেতারা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন। ছাত্ররাজনীতি বিভিন্ন দাবি আদায়ে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে বলে দাবি করেন তাঁরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দিয়ে নেতৃত্বের বিকাশ করা, সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে নতুন সিন্ডিকেট গঠন করা, শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি এবং সব সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নেতারা।
ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. সায়মা হক বিদিশা কথা বলবেন। আমাদের এখন কাজ হলো, ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসের কার্যক্রম ও অন্যান্য বিষয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
দুই দফা বৈঠকে প্রথমবার ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম ও সাহিত্য সম্পাদক রেজাউল করিম শাকিল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের আহ্বায়ক কমিটির সাজেদুল ইসলাম ও প্রজ্ঞা চৌধুরী, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের পক্ষ থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আতিক চৌধুরী, নৃবিজ্ঞানের নাইম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দফায় ছাত্রদল ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঢাবি শাখার সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর ঢাবি শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা ও সাধারণ সম্পাদক সামি আব্দুল্লাহ, ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) ঢাবি শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদিক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) ঢাবি শাখার সভাপতি সুহাইল আহমেদ শুভ প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন।