চীনের ওপর শুল্ক ৮০ শতাংশে নামানোর ইঙ্গিত ট্রাম্পের


ডেস্ক নিউজ | Published: 2025-05-10 13:27:58 BdST | Updated: 2025-06-12 14:29:56 BdST

চীনের ওপর আরোপিত আকাশছোঁয়া আমদানি শুল্ক কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পরাশক্তি চলতি সপ্তাহান্তে সুইজারল্যান্ডে বাণিজ্য আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প শুক্রবার এ ইঙ্গিত দেন।

ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘চীনের ওপর ৮০ শতাংশ শুল্ক ঠিকঠাক মনে হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

চীনের ওপর মার্কিন শুল্ক বর্তমানে ১৪৫ শতাংশ, কিছু পণ্যের ওপর ক্রমবর্ধমান শুল্ক ২৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে। ওয়াশিংটনের এই কঠোর শুল্কের জবাবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এটা স্কট বি.-এর ওপর নির্ভর করছে।’ অর্থাৎ মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের ওপর, যিনি এই উত্তপ্ত বাণিজ্য দ্বন্দ্ব প্রশমনের লক্ষ্যে এই সপ্তাহান্তে জেনেভায় চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী হে লিফেংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারও এই আলোচনায় অংশ নেবেন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এখনো তার অবস্থানে অটল যে তিনি একতরফাভাবে চীনের ওপর শুল্ক কমাবেন না। আমাদের চীনের পক্ষ থেকেও কিছু ছাড় দেখতে হবে।’

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শুধু ৮০ শতাংশের সংখ্যাটি উল্লেখ করেছেন। দেখা যাক, এই সপ্তাহান্তে কী হয়। অত্যন্ত উচ্চ শুল্ক বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে একটি কার্যকর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার সমান, যেখানে বেসরকারি শিপিং তথ্য ইতোমধ্যেই চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য প্রবাহে কমেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস)-এর সিনিয়র উপদেষ্টা এবং মার্কিন সরকারে ইউএস-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড সিকিউরিটি রিভিউ কমিশনের সদস্য বিল রেইনশ বলেছেন, দুই দিকেই বাণিজ্য-বাধাস্বরূপ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। সম্পর্ক অবনতির পথে। কিন্তু আলোচনার উদ্যোগটাই ইতিবাচক।

চায়না ইউরোপ ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুলের অর্থনীতি ও অর্থ বিভাগের অধ্যাপক জু বিন এএফপিকে বলেন, ‘আমি মনে করি এটি মূলত দেখানোর জন্য যে উভয় পক্ষই কথা বলছে এবং সেটিই এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চীনই একমাত্র দেশ যেখানে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে সমানুপাতিক শুল্ক আরোপ করেছে।’

নিজেদের স্বার্থ রক্ষার অঙ্গীকার করে বেইজিং জোর দিয়ে বলেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমে শুল্ক তুলে নিতে হবে।