
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন, পুলিশি হামলা ও তিন দফা দাবির প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসতে তার বাসভবনে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর।
বুধবার (১৪ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল সুগন্ধা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে।
এর আগে সকাল ১১টায় 'জুলাই ঐক্য'র ব্যানারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা 'লং মার্চ টু যমুনা' কর্মসূচি শুরু করেন। মৎস্য ভবন হয়ে কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি ও লাঠিচার্জ চালায়। এতে শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সহকারী প্রক্টর ও সাংবাদিক আহত হন। গুরুতর আহত অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বেলাল, সহকারী প্রক্টর নাইম সিদ্দিকি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সুবর্ণ আসসাইফ, ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধি মাহাতাব হোসেন লিমন, ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিনিধি সোহানুর রহমান এবং দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান।
বিকাল ৩টার পর আন্দোলনকারীরা কাকরাইল মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান নেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, ‘আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর যে বর্বর হামলা হয়েছে, তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।’
জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, “সরকারের এই অমানবিক আচরণে আমরা মর্মাহত। আমার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরেছে, শতাধিক আহত হয়েছে। এর বিচার চাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, “আমার সহকারী প্রক্টরের ওপর পর্যন্ত পুলিশ আঘাত করেছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিতে এমন হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাওয়া হবে না।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো—
১. ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে জবি’র ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু।
২. প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাঁট না করে অনুমোদন।
৩. জবি’র দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন।