২৫ মাস পর চবিতে ভর্তির সুযোগ পেলেন দুই শিক্ষার্থী


CU Correspondent | Published: 2022-02-07 10:18:57 BdST | Updated: 2024-05-18 12:55:35 BdST

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন সীতাকুন্ডু উপজেলার ফাহিমা আক্তার। উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন দেওয়া ফাহিমা 'এ' ইউনিটে ৪৩৪ তম হন। তবে ২০১৮ সাল থেকে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ। ফলে ফাহিমার ভর্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। একই জটিলতায় পড়েন টাঙ্গাইলের জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন। তিনি 'বি' ইউনিটে ১০৯১ তম হয়েও ভর্তি হতে পারছিলেন না। তবে আদালতের নির্দেশে সেই জটিলতা কেটেছে। ২৫ মাস পর ভর্তি হচ্ছেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে আমরা ওই দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছি। তারা ভর্তির কার্যক্রম শুরু করেছে। তারা ওই বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন।

ভর্তির সুযোগ পাওয়া ফাহিমা আক্তার ও জিনাতুল ফেরদৌস বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি হতে পারব সেজন্য চেষ্টা করেছি। এতদিন কোথাও ভর্তি হইনি। দীর্ঘদিন পর হলেও ভর্তি হতে পারব, অবশ্যই ভালো লাগছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর ২০১৯-২০ বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন দিয়ে পরীক্ষা দেন অনেক শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৮২ জন বিভিন্ন ইউনিটে মেধা তালিকায় চলে আসেন। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করলেও মানোন্নয়ন দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল না কোনো নির্দেশনা। তাই তারা আশা নিয়ে পরীক্ষা দেন।

এরপর ওই ৮২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে তিনটি রিট করেন। পাশাপাশি ডি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী একটি রিট করেন। এসব রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৯ ফেরুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিন ইউনিটে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। ডি-ইউনিটে মানোন্নয়ন দেয়া ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ না করায় রিট আবেদনকারীর ফলাফল প্রকাশ ও সেই অনুযায়ী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়।

পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবেদনগুলো দীর্ঘদিন শুনানিতে না আসায় শিক্ষার্থীরা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ভার্চ্যুয়ালি বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে এনে বলেন, ‘আমরা কোথাও ভর্তি হইনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও আমাদের ভর্তি করেনি। আমাদের শিক্ষাজীবন আটকে আছে। এরপর আদালত শুনানির জন্য দিন ধার্য করে। পরে এক শুনানিতে ৮২ শিক্ষার্থী নয়, কেবল যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে দুই শিক্ষার্থী জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন ও ফাহিমা আক্তারকে ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।’