চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, নয় শতাধিক অজ্ঞাত আসামি


CU Correspondent | Published: 2023-09-10 14:39:52 BdST | Updated: 2024-04-28 21:28:00 BdST

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুই মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় নয় শতাধিক অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমেদ এবং প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ভবন এবং পরিবহন ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করেছে প্রশাসন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।

মামলার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাককে মোবাইলে কল করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতের ক্যাম্পাসগামী শাটল ট্রেনে গাছের আঘাতে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের প্রথমে পার্শ্ববর্তী ফতেয়াবাদ ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহতদের চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন নয়জন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে আছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী অংশৈনু মারমা, বাংলা বিভাগের খলিলুর রহমান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন (২০)। এছাড়া চমেক নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ৬ জন।

ঘটনার পর রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছালেই শিক্ষার্থীরা নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দেন। এ সময় তারা আগুন জ্বালিয়ে প্রশাসনের নিকট শাটল ট্রেনের বগি বাড়ানোর দাবি জানান। এছাড়াও জিরো পয়েন্টে অবস্থিত পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা।

পরিবহন দপ্তরের তথ্যমতে অন্তত ৫০টি বাস ও মিনিবাস ভাঙচুর করা হয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, পরিবহন দপ্তরে থাকা ২টি এসি বাসসহ ৩০টি বড় বাস, ১৮টি প্রাইভেটকার, ২টি পিকআপ, ১টি মোটরসাইকেল ও ১টি পুলিশের গাড়িসহ প্রায় পঞ্চাশের অধিক গাড়ি ভাঙচুর এর দৃশ্য।

শিক্ষার্থীদের দাবি, একমাত্র শাটল ট্রেনের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চবির বেশ সুনাম থাকলেও মূলত এই শাটল দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। শিক্ষার্থীদের তুলনায় শাটল অপর্যাপ্ত হওয়ায় বাধ্য হয়ে ছাদে উঠতে হয় শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে শাটলের বগি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে এলেও মিলছে না কোনও সুফল। যার ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা।

প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, শাটল ট্রেনের ছাদে থাকা প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী গাছে আঘাত খেয়ে আহত হয়েছেন। এখানে আমাদের কোনও হাত নেই। শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ উপাচার্যের বাসভবন ও অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাজ হতে পারে না। প্রশাসন তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য মামলা করেছে। যারা ক্যাম্পাসের এই তাণ্ডবের সঙ্গে জড়িত তারা কোনোভাবেই পার পাবে না।