ক্লাস-পরীক্ষা সবই বন্ধ। তারপরেও চার মাসের বকেয়া বেতন চাওয়ায় বিপাকে বেসরকারি মেডিকেলের কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেতনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কাছে চাওয়া হচ্ছে হোস্টেল ভাড়াও। সব বকেয়া একসাথে পরিশোধ করার নোটিশের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, যৌক্তিক কারণেই নোটিশ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ করোনায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় না নিয়ে টাকার দিকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে। মার্চ থেকেই বন্ধ রয়েছে ক্লাস ও হোস্টেল। তবে চার মাস ধরে পুরো টিউশন ফি ও হোস্টেল ভাড়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনার সময় ক্লাস ও হোস্টেল বন্ধ থাকলেও আমাদের কাছে তারা পূর্ন বেতন চাচ্ছে। আমাদের দাবি হচ্ছে আমাদের পূর্ন বেতন পূর্ননির্ধারণ করা হোক আর হোস্টেল ফি মওকুফ করা হোক।
অনলাইনে এক মাস ক্লাস নিয়েই সেমিস্টার শেষ করে দিতে চায় এসব বেসরকারি চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষার্থীদের মোবাইলে খুদেবার্তা পাঠিয়েছে সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। একই সাথে শিক্ষার্থীদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। এমন নোটিশ হতাশ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষকদের বেতনসহ অন্যান্য খরচ বহন করার জন্যই চার মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে বলে জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মালিকদের সংগঠনের সভাপতি মুবিন খান। তিনি বলেন, ওনেক মেডিক্যাল কলেজই ছুটি দেয় নাই আর ফি না দেয়ার ফলে কলেজের শিক্ষকদের বেতন দেয়াটা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংগঠন থেকে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কোনো দপ্তর থেকেই এখনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
দেশে ৭০ টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ও ১৭ ডেন্টাল কলেজে অধ্যায়ন করছেন ৩০ হাজারের বেশী শিক্ষার্থী।
জাহিদ হাসান, ডিবিসি নিউজ