![](https://campustimes.press/uploads/shares/Dhaka-AL-Clash-2019-01-03-01-26-27.jpg)
মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজধানীর কেন্দ্রস্থল সেগুন বাগিচা এলাকায়।
স্থানীয়রা বলছেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের এই সংঘর্ষের সময় গুলির শব্দও পাওয়া গেছে। তবে গোলাগুলির খবর অস্বীকার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সংসদ নির্বাচনের তিন দিন পর বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের কাছে আধা ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাজারের কছে স্থাপিত একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, “স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন রাতে একটি সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে ছাত্রলীগের কয়েকজন বাধা দেয় এবং তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
“কিছুক্ষণ পর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন এসে ছাত্রলীগের ওদের উপর হামলা চালায় এবং কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। গুলির শব্দও শোনা যায়।”
এসময় আশেপাশের অনেকে আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ স্থানে সরে পড়েন। অন্যদিকে ধাওয়ার মুখে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলের কাছে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের বাসা। তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
ছাত্রলীগের একজন বলেন, “স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ছেলেরা ক্যাম্পটি ভাংতে এসেছিল।”
ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের বলেন, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না।
“আমি এসে শুনি, আমার সঙ্গে দেখা করতে আসা অপেক্ষমান কয়েকজনের উপর কে বা কারা হামলা চালিয়েছে এবং কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে।”
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, “ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।”
গোলাগুলি বিষয়ে তিনি বলেন, “গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর এখন পরিস্থিতিও শান্ত।”...বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর