রাজশাহীর পাবলিকিয়ানদের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব রাজশাহী(পুসার) এর আয়োজনে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,(বশেমুরবিপ্রবি) গোপালগঞ্জ। পুসারের আয়োজনে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ঈদ পুনর্মিলনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয়।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজশাহী জেলার আওতাধীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই আয়োজন। দেশের মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং সহ দেশের ৪০ টির অধিক বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পূর্বের কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে ফাইনালে পৌছায় এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়।
ফাইনালে বিতর্কের বিষয় ছিলো "এই সংসদ, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি সমর্থন করে না"। যেখানে ছিলো সরকার দলঃ- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিরোধী দলঃ- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।
বিজয়ী বিতার্কিকগণ হলেন- তানহিম রহমান,একাউন্টটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, সেশন ২০১৭-১৮, মোহাম্মাদ আলী তোহা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ, সেশন ২০১৮-১৯, নাঈমা সুলতানা ইএসডি বিভাগ, সেশন ২০২১-২২
বিজয়দের হাতে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরষ্কার তুলে দেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খাইরুজ্জামান লিটন। এসময় তিনি বিজয়ী এবং বিজিত দুই বিশ্ববিদ্যালয়কেই অভিনন্দন এবং সকলের জন্য শুভকামনা জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কর্ম কমিশনের সদস্য ও রাবির গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডের সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা এমপি, সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সারোয়ার জাহান সজল, বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু, রাবির সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম।
বিজয়ীদের মধ্য থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মোহাম্মাদ আলী তোহা বলেন, "এমন একটি প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়কে জয়যুক্ত করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে নিয়মিত নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়ে অন্যভাবে প্রমাণ করা যায়।" প্রতিপক্ষ ঢাবি বলে, প্রথমে আমরা নার্ভাস ছিলাম কিন্তু পরক্ষণেই মনে হয়েছে সামর্থ থাকলে আমরা সফল হবো। অনুপ্রেরণার জন্য ফাইনালের আগের দেশের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে হারানোর ৬টা রাউন্ড চিন্তা করছিলা। বিতর্ক শেষে ফলাফল বিজয়ী হয়ে খুবই আনন্দিত এবং নিজ বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করতে পারায় নিজেকে গর্বিত মনে করছি।"
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, "উচ্চ শিক্ষায় দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে ২য় অবস্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন প্রজন্মকে যুযোগযোগী শিক্ষায় গড়ে তুলতে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি নানামূখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের আগামীর দেশ গড়ার দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছেন। বর্তমান আগামী প্রজন্মকে মেধাবী জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রযুক্তি নির্ভর জাতি গঠণে এ সরকার প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করে, যার সুফল ভোগ করছি। ঘরে বসে সকল সেবা প্রাপ্তি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুফল। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে।"