২০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে রাবি ছাত্রলীগের মামলা


Abu Saleh Shoeb | Published: 2024-07-25 09:37:55 BdST | Updated: 2024-09-08 05:37:42 BdST

নেতাকর্মীদের বিভিন্ন হলকক্ষে ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগ। গত ১৭ জুলাই শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুম মিয়া বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে প্রায় ৬৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা সমমূল্যের জিনিস লুণ্ঠিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোবারক পারভেজ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার, অর্থনীতি বিভাগের তোফায়েল আহমেদ তপু, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ফজলে রাব্বি, আরবি বিভাগের মাহাদী হাসান মাহির, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের মাহাদী হাসান মারুফ, সমাজকর্ম বিভাগের মেহেদী হাসান সজিব, দর্শন বিভাগের আশিকুল্লাহ মুহিব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শাহ পরান, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যব্যবস্থা বিভাগের দেওয়ান বাঁধন, সিরামিকস বিভাগের তানভীর আহম্মেদ রিদম, অর্থনীতি বিভাগের মনিমুল হক, নেত্রকোনার আবুল কালাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মেহেদি, অর্থনীতি বিভাগের আল মুহি ফেরদৌস, রসায়ন বিভাগের শাহরিয়ার পলাশ, ফার্মেসি বিভাগের আনারুল, নগরীর মির্জাপুর এলাকার নাইম ও হাসিবুল, বুধপাড়ার হাবিবুর ও আশিকুর রহমান এবং কাজলার শাহরিয়ার আহমেদসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন।

মামলার বাদী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুম মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু হলে আমার রুমসহ বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালান। এতে আমার মোটরসাইকেলসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেন দুর্বৃত্তরা। ফলে আমাদের প্রায় অনেক টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে। আমি আতঙ্কিত হয়ে মতিহার থানায় ২০ শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেছি।

মামলার বাদী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুম মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু হলে আমার রুমসহ বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালান। এতে আমার মোটরসাইকেলসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেন দুর্বৃত্তরা। ফলে আমাদের প্রায় অনেক টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে। আমি আতঙ্কিত হয়ে মতিহার থানায় ২০ শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেছি।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ওসি শেখ মোবারক পারভেজ বলেন, কাইয়ুম মিয়া নামের এক শিক্ষার্থী ২০ জনের নামে মামলা করেছেন। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।

এর আগে, গত ১৬ জুলাই বিকেলে লাঠি হাতে বিক্ষোভ নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বেশ কিছু বাইকে অগ্নিসংযোগও করা হয়। ছাত্রলীগের হলকক্ষগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেন আন্দোলনকারীরা।