জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হলো ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস। দিবসটিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, মুজিবনগর সরকার হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সরকার। এই সরকারই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর যে ঘোষণা সেই ঘোষণাকে ধারণ করে মুজিবনগর সরকার সেটাকে অনুমোদন করে তারপরে তার কার্যক্রম শুরু করেছে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে উপাচার্য আরও বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ করে আকাশ থেকে পতিত হয় নি, কারও বাঁশির ফুঁ তে হয় নি, কারও ইচ্ছেতে হয় নি বরং এটি ধীরে ধীরে বহু মানুষের সমন্বিত অবস্থার বহি:প্রকাশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পরিকল্পনা করেছিলেন, এবং ভেবেছিলেন যে কীভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হবে সে বিষয়গুলো আমাদের মুজিবনগর সরকার বাস্তবায়িত করেছে।
মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষকদের আরও বেশি কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুধুই রণাঙ্গনের মধ্যদিয়ে হয় নি, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করবার জন্য কাজ করেছিলেন সেই মানুষগুলোকে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাঁদের যে কাজকর্ম সেটি নিয়ে আমাদের কাজ করার সুযোগ আছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
এসময় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা, সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম, ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ফাহাদুজ্জামান মো. শিবলী, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মাসুম মোকারেরম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিলসহ অন্যরা।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাদ যোহর দুপুরে কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া ও সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।