মেধাবী ছাত্র ফরিদুল ইসলামকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তির ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করে নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় স্থান পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়লে যাবতীয় খরচ বহন করে রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাবির গণিত বিভাগে তাকে ভর্তি করান এই ছাত্রলীগ নেতা।
ফরিদ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার মালভাঙ্গা গ্রামের বিদ্যুৎমিস্ত্রী আইয়ুব আলীর ছেলে। ২০১৪ সালে বল্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১৬ সালে নাগেশ্বরী কলেজ থেকে জিপিএ-৪.৫৮ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করেন ফরিদুল। এরপর ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তির স্বপ্নই ভেস্তে যেতে বসেছিল তার।
রাবি শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মাহফুজ রহমান বলেন, আর্থিক সংকটে ফরিদের ভর্তির অনিশ্চয়তার বিষয়টি নজরে আসলে তাৎক্ষণিক তাকে ফোন করি। ক্যাম্পাসে আসলে আজ (রবিবার) যাবতীয় সহযোগিতার মাধ্যমে তাকে ভর্তি করেছি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করবো। এছাড়া পরবর্তীতে আরও কোনো সহযোগিতা লাগলে সেটাও করবো।
ফরিদুলের মতো এসব অদম্য মেধাবীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। একটু সহযোগিতা পেলেই তারা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
এসব অদম্য মেধাবীদের সহযোগিতায় সবার এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান।
এ বিষয়ে ফরিদ বলেন, 'এহসান মাহফুজ ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই। তিনি অনেক ভালো মানুষ। ক্লাস শুরু হলে ক্যাম্পাসে আসলে আমাকে হলে তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া ক্যাম্পাসে গিয়ে থাকাসহ পড়াশোনার সব রকমের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এমনকি ভর্তি হয়ে বাড়ি আসার সময় ভাড়াও দিয়ে দিয়েছেন তিনি। '
ফরিদ জানান, গত বছর ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য যাতায়াতের টাকা যোগার করতে না পারায় গ্যাপ দিয়েছিলাম। এবার কষ্ট করে টাকা যোগাড় করে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে তিনটিতেই ভর্তির সুযোগ পাই। এর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সি’ ইউনিটে ৪৭৯তম হই। কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছিলাম না।
একটি অনলাইন পোর্টালে ‘এবার সুযোগ পেয়েও ঝরে যেতে পারে ফরিদুল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর তার সাহায্যে এগিয়ে এলেন মাহফুজ রহমান। শুক্রবার রাতে ফরিদুলকে ফোন করে তার যাতায়াত, ভর্তি এবং ক্যাম্পাসে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। রবিবার এ প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করলেন তিনি।
এমএস/ ১০ ডিসেম্বর ২০১৭