
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের (স্নাতক সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে ২৬তম হয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন রাশেদ। ভর্তি হয়েও ক্লাস করার সুযোগ হলো না তার। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
রাশেদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনস গ্রামের মৃত রুহুল আমিন- মুর্শিদা বেগম দম্পতির ছেলে। বালুরচর সিনিয়র আলিম মাদরাসা থেকে আলিম ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে রাবির আইন বিভাগে ভর্তি হন তিনি। তার মৃত্যুতে গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর থেকে রেশন নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে রাশেদের বুকে ব্যথা শুরু হয়। হঠাৎ তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। বাসায় ডাক্তার নিয়ে এলে এক পর্যায়ে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
প্রতিবেশী মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, রাশেদ অনেক নম্র ও ভদ্র একটা ছেলে ছিল। সে অনেক মেধাবী ছিল। তার অকাল মৃত্যু সত্যি আমাদের কাছে দুঃখজনক। আমরা মানতেই পারছি না যে আমাদের মাঝে রাশেদ আর নাই।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, বিষয়টি জানার পর রাশেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কাল রাতেই তার দাফন হয়েছে। তিনি ২৬তম পজিশন অর্জন করে আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এক মেধাবী শিক্ষার্থীকে হারালো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর বলেন, কাল হঠাৎ ফেসবুকে রাশেদের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পারি। কম বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। সে আমাদের বিভাগে ২০২১-২২ সেশনে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু ক্লাস শুরুর আগেই চলে গেলো। আমরা শোকাহত।