রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হলে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আটকের পর ছাত্রলীগের করা নানা অপকর্মের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এই কর্মী।
রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে ঢুকলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে বেঁধে রাখে।
আটককৃত ছাত্রলীগকর্মী হলেন, আল আমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২০২২ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ হবিবুর হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মমিনুল ইসলামের অনুসারী ছিলেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী তার কক্ষ তল্লাশি করে মদের বোতল পেয়ে আটক করে নিয়ে যায়। জানা গেছে তাকে মতিহার থানায় হস্তান্তর করা হবে।
আটককৃত কর্মী বলেন, আমি মূলত সিট পাওয়ার জন্য ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলাম, তাছাড়া শহীদ হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ সভাপতি মমিন আমার এলাকার হওয়ায় তার রুমে ৭-৮ মাস থেকেছি। তবে আমি গত তিনমাস কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলাম না।
এসময় ওই শিক্ষার্থী হল সভাপতি মমিনের একাধিক অপকর্ম তুলে ধরেন, এর মধ্যে রয়েছে সিট বাণিজ্য, ছাঁদে বসে ছাত্রলীগ নেতাদের একসাথে ফেনসিডিল এবং গাঁজা সেবনসহ নানান অপকর্ম।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মী সম্পর্কে জানান, সে হল ছাত্রলীগের সক্রিয়কর্মী ছিল এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। হলের বিভিন্ন তথ্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর কাছে পাঠাতো এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সার্জন আব্দুস সালাম এ বিষয়ে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকর্মী অভিযোগে একজনকে আটক করে রেখেছে। আমরা তার রুম তল্লাশি করে মদের খালি বোতল পেয়েছি। ওই কর্মী ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আমরা থাকে মতিহার থানায় হস্তান্তর করব।