নাটোর শহরে জনি ইসলাম নামের এক কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে শহরের তেবাড়িয়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
বুধবার পুলিশ জানায়, জনি শহরের মল্লিকহাটী এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি অটোরিকশা চালাতেন। তবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এখনো বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হলেও তাঁর নাম জানাতে চাননি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মতিউর রহমান। তিনি জানান, এ ঘটনার তদন্তের জন্যই আটকের নাম বলা যাবে না।
জনিকে পিটিয়ে হত্যার কারণ সম্পর্কে ওসি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাঁকে হত্যা হয়েছে। পুলিশ মাঠে নেমেছে। খুব শিগগির রহস্য উদঘাটিত হবে।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই তালুকদার বলেন, গতকাল বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে তেবাড়িয়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা জনিকে পিটিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে রাতে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি আবদুল হাই বলেন, ‘কয়েকদিন আগে সেখানে মাদকবিরোধী অভিযান হয়। সে সময় প্রচুর মাদক উদ্ধার করা হয়। এমনও হতে পারে যে দুর্বৃত্তরা মনে করেছে, জনি সেই মাদক সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য দিয়েছে। তাই তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
তবে অনেক বিষয় খতিয়ে দেখছে বলে জানায় পুলিশ। সূত্র: এনটিভি।
টিআই/ ১১ অক্টোবর ২০১৭