ভিকারুননিসায় ছাত্রীদের বিক্ষোভ চলছে


টাইমস অনলাইনঃ | Published: 2018-12-05 23:43:31 BdST | Updated: 2024-05-10 08:11:21 BdST

সহপাঠীর আত্মহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এসময় নিজেদের দাবী লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে স্লোগান দেয় তারা।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শামিল হয়েছেন অভিভাবকরাও।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বুধবার কোন ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে না বলে মঙ্গলবারই ঘোষণা দেয়। শিক্ষার্থীদের যেসব দাবির মধ্যে রয়েছে, স্কুলটির প্রিন্সিপাল নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরার স্থায়ী বহিষ্কার, গভর্নিং বডি বাতিল করা ও আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের উপযুক্ত আইনে বিচার করা। শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া আশ্বাস তিন দিনের মধ্যে বাস্তবায়িত না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও শিক্ষার্থীরা জানায়।

অন্যদিকে, আন্দোলনে সরাসরি শামিল না হয়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তবে যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছে তাদের পরীক্ষাও পরবর্তীতে বিকল্প ব্যবস্থায় নেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন গভর্নিং বডির সদস্যরা।

মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষত জিন্নাত আরাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া, আত্মহত্যার কারণ নির্ণয়ে অতিরিক্ত শিক্ষা সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরে নিজের রুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে অরিত্রি। অরিত্রির স্বজনরা জানায়, পরীক্ষার হলে মোবাইল নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সে রোববারের (২ ডিসেম্বর) পরীক্ষায় মোবাইল নিয়ে যায়। সে মোবাইল থেকে নকল করেছে— এমন অভিযোগে শিক্ষকরা তার মোবাইল ফোন নিয়ে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দেয়। পরে সোমবার সে পরীক্ষা দিতে স্কুলে গেলেও মোবাইলে নকল করার জন্য তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রির মা-বাবাকে স্কুলে তলব করে। পরে অরিত্রির বাবা-মা স্কুলে গেলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, নকল করার জন্য স্কুল থেকে অরিত্রিকে ছাড়পত্র (টিসি) দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, মেয়েকে নিয়ে বাসায় আসার পর মেয়েকে স্কুলে রাখতে তদবিরের চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। এর মধ্যে অরিত্রি নিজের ঘর বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়।

অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার জন্য শিক্ষক দায়ী, এমন অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ করছে অরিত্রির সহপাঠী ও অন্য শিক্ষার্থীরা।