
ধর্মীয় উগ্রবাদে অনুপ্রেরণা দেয়া এবং স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় লেকহেড গ্রামার স্কুলের ধানমণ্ডি ও গুলশান ক্যাম্পাস সিলগালা করলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্কুল বন্ধের কোন আদেশ পায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাই এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসিফ ইসতিয়াক।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট লেকহেড স্কুলের দুটি শাখা সিলগালা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকালে স্কুলের ট্রাস্টিবোর্ড ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মিটিং করেছে। স্কুলের ২/৩ হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করা হবে। আমাদের নোটিশ না দিয়ে কেন স্কুল বন্ধ করা হয়েছে? আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এর আগে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে স্কুলটি বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম বন্ধ করতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানায়। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শরীফ রায়হান কবির।
শরীফ রায়হান কবির বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ইলিয়াস মেহেদীকে ওইসব স্কুল বন্ধ করতে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ডিএমপির সহযোগিতায় স্কুলের কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নিতে ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়েছে।
গুলশান থানার ওসি আবু বকর জানান, ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে লেকহেড গ্রামার স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্কুলটির ধানমণ্ডি শাখাটি বন্ধ করে দেওয়ার খবর দিয়েছেন ধানমণ্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. পারভেজ ইসলাম।
লেকহেড গ্রামার স্কুল বন্ধের আদেশে বলা হয়েছিল, ‘ধর্মীয় উগ্রবাদে অনুপ্রেরণা দান, উগ্রবাদী সংগঠন সৃষ্টি, জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতাসহ জাতীয় ও স্বাধীনতাবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য লেকহেড গ্রামার স্কুলের সব কার্যক্রম বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন: স্কুলটির পরিচালনা পর্ষদসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ পাওয়ার পর তা তদন্ত করা হয়। সূত্র: চ্যানেল আই।
এসজে/ ০৯ নভেম্বর ২০১৭