
জাতীয়করণ করার একদফা দাবিতে সারাদেশের ২৬ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে লাগাতার শিক্ষক ধর্মঘট। শিক্ষকরা বলছেন, দাবি মানা না হলে আসবে আরো কঠিন কর্মসূচি। তবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের একাংশ বলছেন, এসএসসি পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এই ধর্মঘট অযৌক্তিক।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে গত ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি। শিক্ষামন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী অনশন ভাঙাতে চাইলেও মাঠ থেকে ফিরে যাননি শিক্ষকরা।
বরং ছয়টি শিক্ষক-কর্মচারি সংগঠনকে সাথে নিয়ে গঠন করেছে বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো কমিটি’। সেই ব্যানারে এখন চলছে আন্দোলন। চলতি মাসে বিরতি দিয়ে ৫দিন ধর্মঘট পালনের পর সোমবার থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ঘোষণা শিক্ষক নেতাদের।
শিক্ষকরা বলছেন, জাতীয়করণ করা হলে কম খরচে লেখাপড়া করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। দাবি মানা না হলে আরো কঠিন কর্মসূচির ঘোষণাও তাদের।
তবে শিক্ষকদের একাংশের নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী ধাপে ধাপে জাতীয়করণ করার ঘোষণা দেওয়ার পরেও এই ধরনের কর্মসূচি অভিভাবকদের বিভ্রান্তিতে ফেলবে।
একটানা অনশনে এবং প্রচণ্ড শীতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ১শ’ ৬৫ জন শিক্ষক। এদের মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে রাজধানীর ভিকারুন নিসা নূন, উদয়ন, আইডিয়াল স্কুলসহ বিভাগীয় শহরের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। সূত্র: চ্যানেল আই।
এইচজে/ ২৯ জানুয়ারি ২০১৮