বিশ্বের ৮০টি দেশকে হারিয়ে ইরানে কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া বাংলাদেশের বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির আহমেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন প্রাঙ্গণে তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনায় হাফেজ বশিকে একটি গিফট বক্স দেওয়া হয়। গিফটের মধ্যে রয়েছে বই, পাঞ্জাবির কাপড়, জায়নামাজ, টুপি, কুরআন শরিফ ইত্যাদি। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এমন সম্মাননা পেয়ে আনন্দিত বশির ও তার শিক্ষক মাওলানা হাফেজ নেছার আহমেদ নেছারী।
অনুভূতি প্রকাশ করে হাফেজ বশির বলেন, আলহামদুলিল্লাহ দেশবাসীর দোয়ায় আমি ইরানে কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছি। কিছুদিন আগে আমি আলজেরিয়াতেও ৩য় স্থান অর্জন করেছিলাম। হাফেজদেকে সম্মানিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ।
শিক্ষক মাওলানা হাফেজ নেছার আহমেদ নেছারী বলেন, বশির মাত্র পাঁচ মাসে হিফজ সম্পন্ন করেছে। সে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আগে খুব ভয় পাচ্ছিলো। আমি তাকে বলেছি তুমি ১৮ কোটি মানুষের ভার নিয়ে এসেছো। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের পতাকাকে সম্মানিত করতেই হবে। তার স্বপ্ন হচ্ছে ইসলামিক স্কলার হওয়া এবং পবিত্র কাবা শরীফের ইমাম হওয়া। সে বাংলাদেশকে সম্মানিত করায় তাকে বিভিন্ন মহল থেকে সম্মানিত করা হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত রাখলে হাফেজরা আরও অনুপ্রাণিত হবে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত হবে, দেশের সম্মান বাড়বে।
মূল ধারার অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থায় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা চাই একটি ইনক্লুসিভ শিক্ষা ব্যবস্থা ও ছাত্ররাজনীতি গড়ে ওঠুক। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্য মাদরাসা শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম চালু করেছি আমরা। তারা যেন প্রযুক্তির সুযোগ সুবিধা, কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা, দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাদের বিশ্বস্ত বন্ধু হয়ে কাজ করবে।
মূল ধারার সকল শিক্ষার্থীদের ভাষা শেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আরবি ভাষা আমাদের জন্য একটি সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। আরবি ভাষা শিখতে পারলে মধ্য প্রাচ্যে দক্ষা শ্রমিক পাঠিয়ে উচ্চ আয়ের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে, অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। আরবি ভাষাকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্ট কোর্স চালুর গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।