উপাচার্যের পদত্যাগ ও মামলা প্রত্যাহার চেয়ে শাবিতে ফের বিক্ষোভ


Desk report | Published: 2022-02-10 10:17:44 BdST | Updated: 2024-04-20 06:05:58 BdST

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন ভাঙার দুই সপ্তাহ পার হলেও মানা হয়নি শিক্ষার্থীদের দাবি। পদত্যাগ করেননি উপাচার্য এবং প্রত্যাহার করা হয়নি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলাও। একই সঙ্গে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা ও খাবারের জন্য সাহায্য করায় বন্ধ করে দেওয়া বিকাশ অ্যাকাউন্টগুলোও খুলে দেওয়া হয়নি।

বুধবার বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং বন্ধ করে দেওয়া বিকাশ অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।

বুধবার সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর থেকে মিছিলটি বের করেন শিক্ষার্থীরা।

শাহরিয়ার আবেদিন বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা হয়। এতে আমাদের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে। পরে আমরা ২৪ শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসি এবং আমাদের সঙ্গে আরও ৫ শিক্ষার্থী অনশনে বসে। প্রায় ১৬৩ ঘণ্টার বেশি সময় অনশন করি এবং ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। সে সময় সরকার থেকে আমাদের মামলা উঠানো এবং দাবি মানার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রায় ১৫ দিন হয়ে গেলেও আমাদের মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি এবং আমাদের চিকিৎসা এবং খাবারের জন্য সাহায্য করায় আমাদের সিনিয়র ভাইদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো মামলা প্রত্যাহার হয়নি এবং অ্যাকাউন্টগুলোও খুলে দেওয়া হয়নি। মামলা প্রত্যাহার ও বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়াসহ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ করছি।

এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি রাতে জরুরি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা না মেনে আবাসিক হলে অবস্থান করতে থাকেন। হলে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করলেও ছাত্র হল শাহপরাণ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ডাইনিং এবং ক্যান্টিন এখনো বন্ধ।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মীর রানা বলেন, হলে খাবারের ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীরা খাবারের সমস্যায় পড়ছে। এ বিষয়ে দুই হলের প্রভোস্টের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাদের ফোনে পাওয়া যায়নি।