শাবিপ্রবিতে কর্মীকে হলছাড়া করলেন ছাত্রলীগ নেতা


SUST Correspondent | Published: 2022-03-13 19:27:59 BdST | Updated: 2024-04-30 14:50:51 BdST

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হল থেকে জুয়েল মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিনিয়রের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১১ মার্চ) দিনগত রাতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ রানার নেতৃত্বে ওই শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী জুয়েল মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শাহপরান হলের ২১৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত রানা উভয়ই শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আশরাফ কামাল আরিফের অনুসারী।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলে একই গ্রুপের দু’পক্ষে উত্তেজনা বাড়ে। এক পর্যায়ে লোহার পাইপ ও স্ট্যাম্প নিয়ে শাহপরান হলে মহড়া দেয় উভয়পক্ষ।

ভুক্তভোগী জুয়েল মাহমুদ বলেন, ‘গত ৭ মার্চ সিনিয়র রায়হান ভাইয়ের জম্মদিন উপলক্ষে মেসেঞ্জার গ্রুপে উইশ করি। ওইদিন ইফতেখার আহমেদ রানা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় গেটে ডেকে মেসেজ ডিলিট করে দিতে ধমক দেন। একপর্যায়ে গায়ে হাত তুলে হল ছেড়ে চলে যেতে বলেন। তার কথা মতো হল না ছাড়ায় শুক্রবার রাতে হলের কক্ষ থেকে বিছানাপত্রসহ আমাকে বের করে দেন। তখন আমি ব্যাগসহ অনেক কিছু কক্ষে রেখেই বের হয়ে যেতে বাধ্য হই।’

জুয়েল আরও বলেন, ‘শনিবার বিকেলে হলে এলে রানা ভাই ৩০-৪০ জনকে নিয়ে আমার ওপর চড়াও হন। আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি স্টিলের পাইপ দিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসার চেষ্টা করেন।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইফতেখার আহমেদ রানা বলেন, ‘জুয়েল ছেলেটা বেয়াদব। সে সিনিয়রদের সঙ্গে একাধিকবার বেয়াদবি করেছে। আবার সে দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় নয়। তাই তাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে গ্রুপ লিডার আশরাফ কামাল আরিফ বলেন, ‘জুনিয়ররা জুয়েলকে এক রুম থেকে অন্য রুমে দিতে চেয়েছিল। তার সিটে অন্য এক সিনিয়রকে উঠাতে চেয়েছিল। এরপর দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তবে সিনিয়ররা এখন সমস্যা সমাধান করে দিয়েছে। তারা দুজনই এখন নিজ নিজ রুমে অবস্থান করছে।’

এ বিষয়ে শাহপরান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।