
পারমাণবিক শক্তিধর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তান। সামরিক সক্ষমতায় দুই দেশের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। তবে যেসব অস্ত্র তারা ব্যবহার করে সেগুলোর পরিচালনায় খরচ মোটেও কম নয়। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে দুই দেশই। এক সমীক্ষা বলছে, সংঘাতে দুই দেশের ব্যয় হয়েছে ৫০ হাজার কোটি ডলারের বেশি। এ ছাড়া দুই দেশের অর্থনীতি পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রতিদিন প্রায় ১০০টি যুদ্ধাভিযান পরিচালনা করেছে, যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক সব যুদ্ধবিমান। প্রতিটি অভিযানের গড় ব্যয় প্রায় ৮০ হাজার ডলার। এক মাসে এই ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার। ড্রোন অভিযানে দৈনিক গুনতে হয়েছে ১০ কোটি ডলার, যা মাস শেষে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারে। ব্রাহ্মাস ও প্রলয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে দেশটির মাস শেষে ব্যয়ের পরিমাণ ৪৫০ কোটি ডলার।
এ ছাড়া উচ্চমাত্রার সামরিক প্রস্তুতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী, জ্বালানি, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও নৌবাহিনীর তৎপরতার জন্য প্রতিদিন ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ডলার। মাস শেষে মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৫৪০ কোটি ডলার।
এদিকে, পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর হামলা ও আকাশ প্রতিরক্ষা টহলে দৈনিক ব্যয় প্রায় আড়াই কোটি ডলার, যা এক মাসে প্রায় ১০০ কোটি ডলার। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে অতিরিক্ত ব্যয় ৪৫ কোটি ডলার। সীমান্ত সতর্কতা, রাডার, সাম, গোয়েন্দা ও সিগন্যাল ইন্টিলিজেন্স কার্যক্রমের জন্য দৈনিক খরচ দেড় কোটি ডলার। মাস শেষে যা ৪৫ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
সামরিক ব্যয় ছাড়াও পরোক্ষভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে দুই দেশে। ক্ষতিগ্রস্ত দুই দেশের জিডিপি, মান কমেছে মুদ্রার, অস্থিরতা বেড়েছে আর্থিক বাজারে। এক সমীক্ষা বলছে, এই সামরিক সংঘাতে সম্মিলিতভাবে ভারত-পাকিস্তানের সামরিক ও অর্থনৈতিক ব্যয় চার সপ্তাহে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার কোটি ডলারের বেশি।