কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও চবি অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুর পৌনে ৫টার দিকে চট্টগ্রামের টাইগারপাসে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
জানা গেছে, দুপুর আড়াইটা ও বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাটল ট্রেনে চট্টগ্রাম বটতলী স্টেশনে পৌঁছে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের টাইগারপাস এলাকায় আসতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। তবে আন্দোলন থেকে পিছপা না হওয়ার কথা জানান শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দিয়ে বলেন, ‘তোমরা হাইকোর্টের রায় একমাস স্থগিত করার সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আন্দোলন করতে পারো না। এই মুহূর্তে আন্দোলন বন্ধ কর।’
এ সময় শিক্ষার্থীদের বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের এক দফা দাবি পূরণ না হলে আমরা আন্দোলন থেকে পিছপা হব না। আপনাদের প্রয়োজন হলে বুকে গুলি চালান। আমরা এই বৈষম্যমূলক অবস্থা নিয়ে মরে যাব।
এরপর শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ডিসি (উত্তর) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু শিক্ষার্থীরা বাধা উপেক্ষা করে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেছে। পুলিশ কোনো ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করেনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, আমি শুনেছি আজকে সড়ক অবরোধ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি পরামর্শ ছিল যে, তোমরা চাইলে সড়ক অবরোধ না করে মানববন্ধন করতে পার। কারণ পুলিশ জনদুর্ভোগ হতে দেবে না।