নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মেয়ে সুমাইয়া নাসরিন। তিনি এবার চৌদ্দতম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে সহকারী জজ হিসেবে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সহকারী জজ নিয়োগের জন্য নেয়া বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১০২ জনের মধ্যে প্রথম হন সুমাইয়া।
সুমাইয়া নাসরিন নাটোরের বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নাজনীন খাতুন ও জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপক (অব.) আবুল কালাম আজাদ দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। তিনি বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর (এলএলএম) পরীক্ষা দিচ্ছেন।
পরিবার সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়, সুমাইয়ার জন্ম নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষ্মীকোল গ্রামে। শিক্ষাজীবনে তিনি লক্ষ্মীকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। পরে বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে জেএসসিতে জিপিএ-৫ এবং আবারো ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। ২০১৩ সালে একই স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন।
এরপর ২০১৫ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ২০২১ সালের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন।
সুমাইয়া নাসরীন সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার জন্য পরিবার ও শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে মনে করেন। তিনি জানান, আমি ভালো রেজাল্ট করব প্রত্যাশা ছিল কিন্তু আমি প্রথম হব এমনটা ভাবিনি। আমার লক্ষ্য ছিল মেধা তালিকায় নাম আসা।
জীবনে কী হব এমন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য আমার ছিল না উল্লেখ করে সুমাইয়া জানান, চির বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়িয়ে সব সময় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে থাকবে আমার অবস্থান। যেহেতু বিচারক হচ্ছি তাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করব সবসময়। আগামীর পথ চলায় তিনি সবার সহায়তা ও দোয়া কামনা করেন।
সুমাইয়ার বাবা ও মা মেয়ের এই সাফল্যে অত্যন্ত খুশি। মেয়ের কৃতিত্বের খবর শুনে আত্মীয়স্বজন ছাড়াও স্থানীয়রা অনেকে খোঁজখবর নিচ্ছেন, জানাচ্ছেন অভিনন্দন। এলাকায় সবার মুখে মুখে এখন এই কথাটি আনন্দ ছড়াচ্ছে। খুশির জোয়ার বইছে পুরো এলাকাজুড়ে।
-01-2022-04-03-10-16-10.jpeg)