চোখ তারুণ্যময় দেখানোর উপায়


Dhaka | Published: 2020-01-14 02:19:07 BdST | Updated: 2024-05-20 12:59:44 BdST

চোখের চারপাশের ত্বক সবচেয়ে বেশি নরম ও পাতলা। নিয়মের সামান্য হের ফের হলেই তার প্রভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে চোখের নিচের অংশে।

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে চোখ তারুণ্যময় রাখার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।

- বার বার চোখ ঘষা পরিহার করতে হবে। চোখ ঘষা হলে তাৎক্ষনিকভাবেই চোখে বয়সের ছাপ পড়তে পারে, যা পরে বলিরেখা ও কুচকানোভাব সৃষ্টি করে। তাই চোখের মেইকআপ তোলার সময় একটু সাবধান হওয়া উচিত। অথবা প্রয়োজনীয় প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত।

- সারা বছরই সানব্লক ব্যবহার করা উচিত। চোখের নিচের ত্বক খুব সহজে রোদে আক্রান্ত হয়। তাই বাইরে গেলে চোখের নিচে সানব্লক ব্যবহার করা ও সানগ্লাস ব্যবহার করা উপকারী। জিংক অক্সাইড সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে চোখের কোনো রকমের জ্বালাপোড়াভাব হয় না ।

- চোখের প্রসাধনী খুব সচেতনভাবে কেনা উচিত। সাধারণত কোনো প্রসাধনী যেমন- ক্রিম, আই শ্যাডো, বা কন্সিলার ত্বকে মানানসই না হলে তার প্রভাব আগে পড়ে চোখে। তাই কোনো প্রসাধনী কেনার আগে তার উপাদান দেখে নিন। আর কোনো রকমের লালচেভাব, চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা হয় কিনা সেদিকে খেয়াল করুন। এমন কোনো সমস্যা দেখা দিলে ওই সকল পণ্য থেকে দূরে থাকুন।

- চোখের জন্য তৈরি করা হয়েছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করুন। রেটিনল, হ্যালোরনিক অ্যাসিড, পলিপেপটাইড, ভিটামিন বি, সি এবং কে, ক্যাফেইন, ক্যারামিডেস এবং ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করা উপকারী।

- পরিমিত পরিমাণে লবণ খান। বেশি করে শাক, শতমূল, সবজি, কলা খান। এগুলো চোখের চারপাশের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ ও ফোলাভাব কমায় এবং ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। টুকরা করে কাটা কমলা, শসা, লেবু ইত্যাদি পানিতে মিশিয়ে পান করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

- পর্যাপ্ত প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার অন্ত্র সুস্থ রাখে, যা ভিটামিন বি শোষণে সহায়তা করে। সৌন্দর্য বজায় রাখে এবং ত্বক সুন্দর রাখতে সহায়তা করে। প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যেমন- দই খেতে পারেন।

- কোমল পানীয়, অ্যাল্কোহল, কফি, সাদা চিনি, ভাজা খাবার, সাদা ময়দা এবং লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

- রাতে ত্বক পরিচর্যা করুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে অল্প পরিমাণ ‘আই সিরাম’ চোখের নিচের অংশে মেখে নিন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ চোখের সিরাম ব্যবহার করুন। এতে কোষকলা বৃদ্ধি পাবে এবং বয়সের ছাপ দূর হবে।