দিনের শুরুতেই মুখটাকে মিষ্টি করে ফেলুন একটি চকলেট খেয়ে। কারণ, আজ চকলেট ডে। ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের তৃতীয় দিনটি বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয় চকলেট আদান-প্রদান করে।
ভালোবাসার মানুষটির জন্য তার পছন্দের এক বাক্স চকলেট নিয়ে হাজির হতে পারেন। ভালবাসা প্রকাশিত হোক চকলেট দিয়েই। বন্ধুদেরকেও চকলেট খাওয়াতে পারেন। অথবা ভালোবেসে নিজেকেই উপহার দিতে পারেন এক বাক্স চকলেট। চকলেট ডে’র এই দিনটিতে জেনে নিন চকলেট সম্পর্কে কিছু তথ্য।
৫০০ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে মনে করা হতো চকলেট হলো ঈশ্বরের খাবার। চকলেট তৈরির মূল উপাদান কোকোয়া। কোকোয়া শব্দটি এসেছে ‘কাকাওয়া’ থেকে। ‘কাকাওয়া’ শব্দের অর্থ ঈশ্বরের খাবার। ১৫০০ থেকে ৫০০ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ পর্যন্ত মধ্য আমেরিকায় বসবাসকারী ওলমেক জাতির মানুষেরা এই নাম দিয়েছিলেন। মায়া সভ্যতায় শুধু ধনীরাই পানীয় হিসেবে খেত চকলেট। তবে ইউরোপীয়রা মায়া সভ্যতা আবিষ্কারের পর থেকে চকলেট শুধু ধনীদের মাঝে সীমাবদ্ধ না থেকে সর্বসাধারণের খাবারে পরিণত হয়।চকলেট
গবেষণায় কোকোয়ার নানা গুণের কথা জানা গেছে। কোকোয়াতে ফ্ল্যাভানল নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। ফলে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে। চকলেটে যত বেশি কোকোয়া থাকবে, শরীরের জন্য তা ততটাই ভাল। একারণে ডার্ক চকলেটকে বেশি স্বাস্থ্যকর বলা হয়ে থাকে।
মন খারাপ থাকলে চকলেট খেলে মন ভাল হয়ে যায়। আর তার কারণ হলো, চকলেটে ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা শরীরকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যানানডামাইড নামের নিউরোট্রান্সমিটার মন ভালো করতে সাহায্য করে।
বিডিবিএস