গণঅধিকার পরিষদ নূরুল হক নূর, রাশেদ খান, ফারুক হাসান, হাসান মামুনদের ত্যাগ, সংগ্রাম আর সাহসে গড়ে ওঠা সংগঠন। এর উত্থান ও বিকাশে ড. রেজা কিবরিয়ার তেমন কোন ভূমিকা নেই।
তিনি কামাল হোসেনের দল থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়ে অনেকটা নিসঙ্গ ও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েন । এ অবস্থায় যে প্রত্যাশা থেকে, যে সম্মান দিয়ে দেশের তরুণ-যুবকদের নতুন প্রত্যাশার দল গণঅধিকার পরিষদে তাকে সর্বোচ্চ পদে আসীন করা হয়েছিল, তিনি তা পুরণ করতে ব্যথ হন।
আমি নিজে রেজা কিবরিয়াকে দলটির প্রতিষ্ঠা বর্ষিকীর অনুষ্ঠানে অনেকক্ষণ অতিথিদের অপেক্ষমান রেখে দেরী করে আসতে দেখেছি, দলের সাধারণ কর্মী এমনকি নেতাদের সাথে তার দুরত্ব দেখেছি, কিছু টক-শো ও অনুষ্ঠানে তে তার অরাজনৈতিক ও ইমম্যচিউরড কথাবার্তা শুনে হতাশ হয়েছি।
গণঅধিকার পরিষদে তিনি আনফিট ছিলেন। গতকাল নূরের পরিবারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি যে অহমিকা প্রকাশ করেছেন তা নীচু মনেরও পরিচায়ক। তার জায়গায় রাশেদ খানকে পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা সঠিক সিদ্ধান্ত।
রেজা কিবরিয়া, আপনি আত্নমর্যাদাবোধ নিয়ে নিজে নিজে একটা দল গড়ে তুলুন, প্রয়োজনে আপনার মতো বড় বড় পরিবারের সদস্যদের সাথে নিন। নূর-রাশেদদের রক্তে ঘামে প্রতিষ্ঠিত দল, আখতার আর সিফাতের মতো আমার বহু ছাত্রের আত্নত্যাগে গড়ে ওঠা দল, গণঅধিকার পরিষদ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না আশা করি ।আমি জানি কি নির্যাতন, কি নিপীড়ন সহ্য করতে তারা আজকে এই জায়গাটায় এসেছে।
নূর-রা তাই বলে সমালোচনার উর্ধ্বে নয়। তাদের ভুল-ভ্রান্তি থাকতেই পারে । আশা করবো তার সেগুলো নিজেরা আলোচনা করে দুর করতে পারবেন। দেশের হাজারো তরুণের স্বপ্নের দল গণঅধিকার পরিষদ। আশা করি, এটি পুরনে যে দায়িত্ববোধ, দক্ষতা আর দেশপ্রেম প্রয়োজন তা তারা দেখাতে পারবেন।
গণঅধিকার পরিষদের জন্য শুভ কামনা।
লেখাটি আসিফ নজরুলের ফেইসবুক থেকে নেয়া