কেউ যদি ভেবে থাকেন, মাহফুজ আলম একা, তাহলে তারা মারাত্মক ভুল করবেন। আমরা যারা মাহফুজের সাথে আছি, আমরা থাকবই। কারন মাহফুজ হঠাৎ মাটি ফুঁড়ে হাজির হয়নি। সমাজের দ্বন্দ্ব সংগ্রামের মধ্য থেকেই তরুণরা হজির হয়েছে। তারাই ভবিষ্যত। সমাজকে চিনুন, মাহফুজদেরও চিনবেন
মাহফুজ, আখতার, নাহিদ, আসিফ, নুসরাত, আকরাম, আরিফ, জাহিদ, তুষার, উমামা, হাসনাত, সারজিস, নাজিফা, আবু বকর, তরিকুল, সানজানাদের পয়দা করতে একটি জনগোষ্ঠির দশকের পর দশক লেগে যায়। (বন্ধুরা, তালিকা বড়। কারো নাম যুক্ত করতে আমার ব্যর্থতা ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন।)
গিবত গাইতে পারেন, ওতে লাভ হবে না। আমরা যারা সামনের দিকে তাকিয়ে এখনকার কথা বলি, আমরা বুঝতে পারি,তরুণদের কারণে বাংলাদেশের জগণের যে চেতনাগত উল্লম্ফন ঘটেছে, তার ফল আমরা পাবই পাব। বাংলাদেশ আর পেছন ফিরে তাকাবে না। নিশ্চিত থাকেন।
আমাদের কাজ তাদের পাশে থাকা এবং অনভিজ্ঞতাজনিত ভুল ধরিয়ে দিয়ে আরও সংঘবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তি হিশাবে তাদের আবির্ভাব নিশ্চিত করা। আমরা কেঊই ফেরেশতা নই।
রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিশাবে বিশ্বসভায় আমাদের শিরদাঁড়া খাড়া করে দাঁড়াতে হবে, দাঁড়াতেই হবে।
ভূরাজনীতি এবং নিউ লিবারেল পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটা সহজ কাজ নয়। কিন্তু বাংলাদেশ প্রস্তুত।
সামনে আরো কঠিন লড়াই লড়তে হবে।
লিখেছেন ফরহাদ মজহার