ছিলেন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন মনোনীত সিনেট বা সিন্ডিকেট (কে গোনে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হওয়া এসব পদ? তাই এক্সাক্টলি কোন বডির মনে নেই) সদস্য। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে তিনি নীল দল থেকে ডিন নির্বাচন করলেন। এরপর কে রোধে তার বাণিজ্যিক-প্রশাসনিক অগ্রযাত্রা? তিনি শিক্ষক সমিতির সভাপতি হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত হলেন। ডিন হয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এক দালান বানালেন গাউসিয়া মার্কেটের আদলে। শুনেছি তিনি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে আসতে পারেন। তাই তার অগ্রযাত্রায় ছেদ পড়েনি। সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন ২০১৭ সালে। সেই মেয়াদ বাড়লো ২০২১ সালে। শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার অধ্যাপক জাফর ইকবালকে পাঠালো প্রতিশ্রুতি দিতে শিক্ষার্থীদের যে তাদের দাবি মানা হবে। ভিসি পরিবর্তন হবে। কিন্তু যে ভিসি পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা না (তার নিজেরই পিএইচডি নেই), টাকা নিয়ে আসতে পারেন তিনিই নমস্য। আওয়ামী লীগ সরকারকে বহু সার্ভিস দিয়ে মান-ইজ্জত কমতে থাকা অধ্যাপক জাফর ইকবালকে আস্থা-অযোগ্য ব্যক্তিতে নামিয়ে দিলো সরকার জাতির কাছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে, এই বিখ্যাত ভিসির জন্য। তিনি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। কিন্তু মানুষ তার পরিচয় আসলে লুকাতে পারে না। তাই তিনি অবশেষে মুখোশ খুলে ঘোষনা দিলেন যে তালেবানি কালচার নিয়ে তিনি খুবই গর্বিত। (খবর প্রথম মন্তব্য ঘরে)। থুড়ি, এটিই প্রথম নয়, তিনি গত বছর শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময়ও বলেছেন জাহাংগীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের কোন ছেলে বিয়ে করবে না। (লিঙ্ক দ্বিতীয় মন্তব্যের ঘরে) বলি যে সরকার বাহাদূর এই নারীবিদ্বেষী আত্মস্বীকৃত তালেবানকে লইয়া এখন কী করিবে?
সাকিব আর তানজীমকে নিয়ে যারা ফেসবুক ভাসালেন, তাদের কোন উচ্চবাচ্য নেই কেনো? এই ব্যক্তি কীভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের একটি পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি থাকতে পারেন?
আমি আমার প্রতিবাদটুকু করে গেলাম।
আপনিও করুন। এভাবে চলে না।
লেখাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাবেরি গায়েনের ফেইসবুক থেকে নেয়া।