যুবলীগের চেয়্যারম্যান শেখ পরশ, সম্পাদক নিখিল


Dhaka | Published: 2019-11-24 04:16:48 BdST | Updated: 2024-05-18 08:55:35 BdST

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই দুজন আগামী তিন বছরের জন্য যুবলীগের শীর্ষ দুই পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) যুবলীগের ৭ম জাতীয় কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই দুজনের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এর আগে যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম দলটির চেয়ারম্যান পদে শেখ ফজলে শামস পরশের নাম প্রস্তাব করেন। আর এতে সমর্থন জানান কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। চেয়ারম্যান পদে আর কারও নাম না থাকায় পরশকেই যুবলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ছয়জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। ওই ছয়জন হলেন- মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মাইনুল হোসেন খান নিখিল, অ্যাডভোকেট বেলাল, সুব্রত, মনজুর আলম শাহিন ও ইকবাল মাহমুদ বাবলু। তবে শেষ পর্যন্ত সর্ব সম্মতিক্রমে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মাইনুল হোসেন খান নিখিল ।

শেখ ফজলে শামস পরশ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে। তিনি ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তার ছোট ভাই শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা-১২ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। সম্প্রতি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে যুবলীগের অনেক শীর্ষ নেতা বিতর্কিত হয়ে যাওয়ায় ক্লিন ইমেজের নেতা খোঁজা হচ্ছিল। আর এতে প্রথম থেকেই আলোচনায় ছিলেন শেখ ফজলে শামস পরশ।

এছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া মাইনুল হোসেন খান নিখিল ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

যুবলীগের নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়া প্রমুখ।

এর আগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৭ম জাতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি বেলা ১১টার দিকে দিকে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন। এরপর যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এরপর মঞ্চে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান আতা ও প্রকৌশলী নিখিল রঞ্জন গুহ। প্রধান অতিথির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম ও সদস্য সচিব হারুন-অর-রশিদ।

ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয়। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য বেলাল হোসাইন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান চৌধুরী। সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক হারুন-অর রশিদ।

যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও প্রধান অতিথির সারিতে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ উপস্থিত থাকলেও তিনি বক্তব্য দেননি। পেছনের সারিতে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।