ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি সেলিম ডিএনসিসির মেয়র প্রার্থী


টাইমস অনলাইনঃ | Published: 2018-01-04 23:07:25 BdST | Updated: 2024-05-19 01:51:03 BdST

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) মেয়র পদে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মো. সেলিম উদ্দিনকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে দলের নির্বাহী পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জামায়াতের ঢাকা মহানগরের একটি অঞ্চলের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মো. সেলিম উদ্দিন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি। ২০১৭ সালের শুরুতে জামায়াতের মহানগর শাখা দুই ভাগ হওয়ার পর তিনি উত্তরের আমির মনোনীত হন।

বিএনপি জোটের বাইরে গিয়ে জামায়াত এককভাবে এই প্রার্থী দিলো। এর আগে সিলেটেও জামায়াত বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের গিয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নাম ঘোষণা করে।

‘জামায়াতে ইসলামী গতানুগতিক কোন রাজনৈতিক দল নয় বরং একটি আদর্শবাদী ও গণমানুষের জন্য কল্যাণকামী গণমুখী সংগঠন। জামায়াত আর্ত-মানবতার সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম।

বুধবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের রমনা থানা আয়োজিত বিজয়ের ৪৬তম বর্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দলটির প্রচার বিভাগ।

ড. রেজাউল করিম বলেন, জামায়াত যেকোন জাতীয় দুর্যোগকালীন সময়ে জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের আজকের এই প্রয়াস জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধেরই ধারাবাহিকতা। তিনি সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করতে সকল স্তরের মানুষের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন, জনগণের সকল সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না থাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী রাষ্ট্রের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত। দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পুঁজির অভাবে তাদের ব্যবসায়ী কার্যক্রম ঠিকমত পরিচালনা করতে পারেন না। রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হলে তারা জাতীয় উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেন। কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাও দায়সারা গোছের। সরকার এমন ক্ষেত্রে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দেয় তা মোটেই আদায়যোগ্য নয়। তাই দেশের অর্থনৈতিক সেক্টরে সীমাহীন নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। ঋণখেলাপীদের দৌড়াত্ব বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। তাই দেশ ও জাতিকে এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার কোন বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই তারা সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে না। গণমানুষের সকল সমস্যার সমাধান সহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদান সরকারের দায়িত্ব হলেও সরকার সে দায়িত্ব পালনে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তেল ও গ্যাসের বারবার মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অথচ সরকার জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই এই ব্যর্থ ও জুলুমবাজ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনদুর্ভোগ বাড়বে বৈ কমবে না। তিনি অগণতান্ত্রিক সরকার হঠিয়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

এসময় রমনা থানা আমীর ড. আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা জিল্লুর রহমান ও আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।

সংবাদটি আরটিএনএন থেকে নেয়া 

বিডিবিএস