লাঞ্ছিত ছাত্রীর বাবা আওয়ামীলীগ নেতা ও তার চাচা প্রধানমন্ত্রীর এপিএস


ঢাবি টাইমস | Published: 2018-01-25 06:14:05 BdST | Updated: 2024-05-19 10:37:35 BdST

ছবিতে নির্যাতিত এই ছাত্রীর নাম শ্রবণা শফিক দীপ্তি । তার বাবা ৯৪ সালের সেই বিতর্কিত মাগুরা-২ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে দীপ্তির বাবা মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুজ্জামান বাচ্চু। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দুইবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

এই ছাত্রীর আপন চাচা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস সাইফুজ্জামান শেখর। দীপ্তির ফুফু সংসদ সদস্য কামরুন লায়লা জলি। দিপ্তীর মামা মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল। নানা ছিলেন মাগুরা আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক। ৫ বার এমপি ছিলেন তার দাদা আসাদুজ্জামান। 

আহত ছাত্রী এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, জানিয়ে দিতে চাই, আমি কোন বাম করি না, ছাত্রদল করি না, শিবির করি না, ছাত্রলীগও কখনো করি নাই। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ট্যাগহীন একজন জেনারেল স্টুডেন্ট। বরং আমার বাপ ৯৪ সালের সেই বিতর্কিত মাগুরা-২ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

নির্যাতিতা ছাত্রীর পারিবারিক পরিচয়।  

জানতে চাইলে মারধরকারী বাংলাদেশ- কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী শ্রাবণী শায়লা বলেন, যেই ছবিটি বের হয়েছ, সেখানে আমি তার কাপড় ছিঁড়িনি। তার গায়ে সোয়েটার ছিল না, তার হাতে সোয়েটার ছিল।

তিনি বলেন, তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে, তবে আমি মারধর করেনি। বরং আমাকে মারা হয়েছে, আমার পেটে লাথি দেয়া হয়েছে। যার কারনে আমি হাসপাতালে।

বিডিবিএস