এটিএননিউজে ঢাবি ভিসির নাম ব্যাঙ্গ: তীব্র সমালোচনা


আব্দুল্লাহ শাহীন | Published: 2017-08-08 05:59:48 BdST | Updated: 2024-05-19 02:55:10 BdST

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নাম ব্যাঙ্গাত্মক করে এটিএননিউজের টকশোর শিরোনাম দিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত হওয়া সাংবাদিক মুন্নি সাহা। 

তার এই টকশো নিয়ে সমালোচনা চলছে ফেসবুকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও এর সমালোচনা করছেন। অনেকে বলছেন, এটিএন নিউজ ও মুন্নি সাহার বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।

এ টকশোতে অথিতি হিসেবে ছিলেন, ড অজয় রায়, ভিসি বিরোধী আন্দোলনের প্রধান মকসুদ কামাল এবং আরো একজন। তারা কেউ এই শিরোনামের বিরোধীতা করেছেন বলে জানা যায়নি। 

আইনুল ইসলাম নামে ঢাবির এক শিক্ষক তার ফেসবুকে লিখেছেন, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ‘এটিএন নিউজ এক্সট্রায়’ প্রচারিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাননীয় উপাচার্যকে নিয়ে যে সব শব্দ চয়ন করা হয়েছে । তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি অনুষ্ঠানের শিরোনাম নিয়ে... সাংবাদিকতার কোন স্তরেই এটি গ্রহণযোগ্য নয়। একজন সিনিয়র সাংবাদিক পাবলিকলি লাইভ প্রচারিত অনুষ্ঠানে এভাবে, এতটা নিচে নামবেন...।

 
এসোসিয়েট প্রোফেসর মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, 
'আমার সমালোচক আমার বন্ধু' - এ নীতি বরাবরই আমার পছন্দ। আমার প্রতিটি কোর্স শেষে শিক্ষার্থীরা আমার মূল্যায়ন করে। শিক্ষার্থীরা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও নির্বিগ্নে আমার সমালোচনা করতে পারে সেজন্য তাদের উৎসাহিত করি এবং মূল্যায়নপত্রে শিক্ষার্থীদের নাম, রোল কিছুই থাকেনা।
কিন্তু সমালোচনার নামে মিথ্যাচার, নোংরামি, অসভ্যতা ও বিকৃতি আমি ঘৃণা করি। আমি নিজেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয়ে সমালোচনা করি এবং সেটা একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় বলেই সম্ভব! আমাদের দেশে নিজ প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম সমালোচনাও অন্যত্র বিরল! এটা সুস্পষ্ট বিকৃতি ও বেয়াদবি। শুধু ব্যক্তি ভিসি স্যার নয় বরং গোটা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তথা জাতির সাথে বেয়াদবি। এই বিকৃতি ও বেয়াদবির উপযুক্ত শাস্তি হওয়া জরুরী!

শিক্ষার্থীরা বলছেন, মুন্নি সাহা এর আগেও শাহজালাল ইউনিভার্সটির ভিসির সাথে বেয়াদবি করেছেন। রাষ্ট্রপতির সাথে বেয়াদবি করেছেন। তাকে বিচারের আওয়াতায় আনা উচিত।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েকদিন যাবৎ ভিসি প্যানেল মনোনয়ন ও শিক্ষক নিয়োগে আইন ও ঐতিহ্য ভঙ্গ করায় আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সমালোচনা চলছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, পত্র পত্রিকা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। 

এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরেছেন। একটি গ্রুপ ভিসির পক্ষে আরেকটি গ্রুপ আরেফিনের বিপক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। তবে দুইটি গ্রুপই বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে সকল মতের শিক্ষার্থীদের মাঝে রয়েছে আরেফিন সিদ্দিকের জনপ্রিয়তা। 

এমএসএল / ০৭ অাগস্ট ২০১৭