বশেমুরবিপ্রবি ভিসি নাসির উদ্দিনকে প্রত্যাহারের সুপারিশ


টাইমস ডেস্ক | Published: 2019-09-30 03:16:52 BdST | Updated: 2024-05-18 17:15:46 BdST

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি।

একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তোলা বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে ভিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার সুপারিশসহ মোট তিনটি সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় চিঠি পাওয়ার পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আলমগীরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য চারজন হলেন- ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাত হোসেন, ইংলিশ পরিচালক (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) মো. কামাল হোসেন এবং আইন শাখার উপপরিচালক মৌলি আজাদ।

কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে দুদিন অবস্থান করেন এবং ২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ঢাকা ফিরে এসে ওই দিনই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে ইউজিসির কাছে জমা দেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে তিনটি সুপারিশ করা হয়। সেগুলো হলো- ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে তার প্রমাণ হয়েছে, তিনি (ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিন) বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় যোগ্য নয়, তাই তাকে ভিসি পদ থেকে সরিয়ে দেয়া এবং তার বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সেসব বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।

এরআগে ইউজিসি তদন্ত কমিটির কাছে বঙ্গবন্ধু বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এসব অনিয়মের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ ও পদোন্নতি, কেনাকাটা, শিক্ষার্থী ভর্তিসহ নানা ঘটনা। কেউ কেউ তুচ্ছ কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ বা বহিষ্কারের কথাও বলেছেন।

গত বৃহস্পতিবার ও আগের দিন বুধবার তদন্ত কমিটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বক্তব্য নেন। পাশাপাশি উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদেরও বক্তব্য নেয় কমিটি।

অন্যদিকে ‍‘প্রশাসনের ইন্ধনে’ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় গতকাল আরও একজন সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী সহকারী প্রক্টর মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সহকারী প্রক্টরের পাশাপাশি শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সদস্যের পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।

এর আগে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবির। এরপর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন সহকারী প্রক্টর নাজমুল হক খান। পরে ‘প্রশাসনের ইন্ধনে’ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় সহকারী প্রক্টর মো. তরিকুল ইসলাম পদত্যাগ করেন।