বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা


Gopalganj | Published: 2019-11-28 10:31:56 BdST | Updated: 2024-05-19 17:46:32 BdST

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ২য় বর্ষে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর শিক্ষার্থীর নাম আবদুল্লাহ আল নোমান। আজ রাত ১১টায় সোনাকুড়ের মেস থেকে নোমানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়।

মেসে অবস্থানরত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ১০টার দিকে তারা নোমানের রুম থেকে পানি বের হতে দেখলে দরজা ভেঙে রুমে প্রবেশ করে। পরে তাকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পায়। তাৎক্ষণিকভাবে তারা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা এবং অন্য শিক্ষকরা পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নোমানের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। ছেলেটির পরিবারকে জানানো হয়েছে।

এদিকে নোমানের রুম থেকে এটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে; যেখানে তিনি লিখেছেন, তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। উল্লেখ্য, নোমানের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন তিনি।

এদিকে নোমানের মৃত্যুতে ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমেছে এসেছে। ফেসবুকে মোজাম্মেল হক নাইম নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। যখন ওর সাথে প্রথম পরিচয় হয় ও তখন ক্লাস সিক্সে; সাময়িক পরীক্ষার সময় একই টেবিলে বসে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। তখন একটা জিনিস খেলায় করেছিলাম ওপর মাথায় সব সময় টুপি পড়া থাকতো তার স্বভাব চরিত্র ছিল। অসাধারণ এই খবরটা যেন আমার কেমন জানি ষড়যন্ত্রের মনে হচ্ছে! যদি আত্নহত্যা হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য কষ্ট হবে না কারণ আত্মহত্যা মহাপাপ জীবন।’

রিমন লিখেছেন, ‘দোস্ত আমি কি বলবো আমি নিজেও জানিনা; আমি নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারছি না যে তুই আদৌ এই কাজ করতে পারবি। কেন এই কাজ করতে গেলি ভাই? আমার লাইফে তোর মতো ভালো মানুষ কমই দেখেছি।।ভাই আমাদের মাফ করে দিস... কেনো বন্ধু হয়েও তোর ডিপ্রেশনের কারন জানতে পারিনি, যেটা শেষ পর্যন্ত তোর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। ওপারে ভালো থাকিস ভাই।’