ঢাবিতে নেচে-গেয়ে হেসে-খেলে উল্লাসে সম্মিলিত র‌্যাগ ডে


ঢাবি টাইমস | Published: 2020-01-03 07:48:23 BdST | Updated: 2024-05-18 17:58:16 BdST

নেচে-গেয়ে হেসে-খেলে উল্লাসে সম্মিলিত র‌্যাগ ডে পালন করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ,১৩-১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা । ২ জানুয়ারি তাদের আয়োজন সকালবেলা বের হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। দিনভর আনন্দ উল্লাসের পির সন্ধ্যায় শুরু হয় কনসার্ট।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণত বিভাগভিত্তিক আলাদা আলাদা হয়ে থাকে ।বছরের শেষ দিকে দীর্ঘ সময় ধরে বিচ্ছিন্নভাবে উদযাপিত এসব র‌্যাগ ডে ক্লাস-পরীক্ষায় সমস্যার সম্মুখীন হয় শিক্ষার্থীরা। তবে গতানুগতিক নিয়ম ভেঙ্গে প্রথমবারের মতো সম্মিলিত র‌্যাগ ডে উদযাপন করল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩-১৪ ব্যাচ।

পালাবদল-৯৩ নামে 'ছুটির ঘণ্টা বাজছে ঐ, আমরা তিরানব্বই' স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে এই র‌্যাগ ডে উদযাপন করে তারা ।

আয়োজকরা জানান, প্রতিবারই ক্যাম্পাসে বিভাগভিত্তিক র‍্যাগ ডে উদযাপিত হয়। সেখানে বিভাগের বন্ধুদের সাথেই আনন্দ ভাগাভাগি করা হয়। কিন্তু এবার আমরা  ১৩-১৪ সেশনের সবাই মিলে শেষবারের বন্ধুত্বের মেলবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হাসি আনন্দে রেগ ডে পালন করলাম।

সম্মিলিত এই র‌্যাগ ডের আহ্বায়ক ১৩-১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবির রায়হান।

.

তিনি জানান, সকল শিক্ষার্থীকেই একসময় বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কার্যক্রম শেষ করতে হয়। আমরা ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থীরাও এর দ্বারপ্রান্তে। সকলের শেষের শুরুটা আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হোক এ লক্ষেই আমাদের আয়োজন। প্রত্যাশা রাখছি সম্মিলিত এই সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন স্মরণীয় ও অনুসরনীয় হয়ে থাকবে।

পুরো আয়োজনকে বেশ কয়েকটি পর্বে ভাগ করেছে আয়োজকরা। র‌্যাগ ডে তে প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য ছিল দুটি টিশার্ট। এগুলোর একটি সাদা এবং অন্যটি পোলো টিশার্ট। পোলো টিশার্ট র‌্যাগ ডের দিনে গায়ে দেবে সবাই। অন্যদিকে রং উৎসবে সাদা টিশার্টের সাথে সবাই রং মাখামাখিতে মেতে উঠে।

আয়োজনের শুরুতেই ছিল ব্যাচ র‍্যালি, মধ্যাহ্নভোজ ও সন্ধ্যায় থাকবে জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাতের খাবার। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ওয়ারফেজ, আভাস, কণা, সহজিয়া, ক্যাম্পাস ব্যান্ড (অসৃক,কৃষ্ণপক্ষ,আসর,ক্র‍্যাক প্লাটুন, স্ল্যাপ ফ্রম দ্যা লোজার্স) প্রভৃতি।

ব্যতিক্রমী এই র‌্যাগ ডে’র আয়োজন প্রসঙ্গে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মিজান বলেন, ‘আমরা একটা ট্রেন্ড চালু করে রেখে যাচ্ছি। সবাই যেন পরবর্তীতে এইটা অনুসরণ করতে পারে। এছাড়া সব ডিপার্টমেন্ট একসাথে হওয়ায় একটা উৎসবের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে।’

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মো. রিপন মিয়া বলেন, ‘এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ভাল। সব ডিপার্টমেন্ট মিলে একটা সমন্বিত র‍্যাগ ডে হচ্ছে। সবার সাথে দেখা হচ্ছে। তবে খুব খারাপও লাগছে এই ভেবে যে, এদের মধ্যে অনেকের সাথে আর দেখা হবে না।’