লঞ্চে আগুন

সাঁতার না জানা জবি শিক্ষার্থী ফাতেমা ‘মায়ের পরামর্শে প্রাণে বাঁচলেন’


Desk report | Published: 2021-12-26 13:19:46 BdST | Updated: 2024-05-18 08:56:33 BdST

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে গ্রামের বাড়ি বরগুনায় যাচ্ছিলেন। ফুফাতো বোনের সঙ্গে ওঠেন এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন লেগে গেলে কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। শেষমেশ মুঠোফোনে মাকে ফোন করে পরামর্শ নেন। সাঁতার না জানলেও মায়ের পরামর্শে ফুফাতো বোনকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

ফাতেমা আক্তারের পরিবারের বরাত দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভয় পেয়ে মায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় ফাতেমার। সাঁতার না জেনেও আগুন থেকে বাঁচতে মায়ের পরামর্শে নদীর ঠান্ডা পানিতে ঝাঁপ দেন তিনি। ফুফাতো বোনের সহায়তায় কোনো রকমে নদীর তীরে পৌঁছাতে পারেন ফাতেমা। নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন তিনি।

ফাতেমা আক্তার এখন ঝালকাঠির সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর মা-বাবা দুজনই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়েকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করার চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন বলেন, আগুনে ফাতেমার হাত-পায়ের অনেকাংশ পুড়ে গেছে। দীর্ঘ সময় নদীতে থাকায় ঠান্ডা লেগে শ্বাসকষ্টেও ভুগছেন ফাতেমা।

ফাতেমার পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে খোঁজখবর রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর উন্নত চিকিৎসায় সুযোগ–সুবিধার দরকার হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মো. মহিউদ্দিন। মহিউদ্দিন বলেন, ‘আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর পাশে থাকবে।’