ডিউডিএস নির্বাচন বর্জন ও চীফ মডারেটরের পদত্যাগ দাবি
:অবস্থান কর্মসূচি করলো বিতার্কিকদের একাংশ
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে সকালে ১১টায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচন বর্জন, সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন গঠন করতে ব্যর্থ হওয়ায় চীফ মডারেটরের পদত্যাগের দাবি ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির অনিয়মের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ বিতার্কিক ও হল বিতর্ক সংগঠনগুলোর একাংশ।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দিয়ে সাধারণ সভা ঘোষণা করলে বিতার্কিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাদের দাবী বর্তমান কমিটি ও মডারেটর প্যানেল গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির বর্তমান কমিটির মেয়াদ গত বছর ডিসেম্বরে শেষ হলেও নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে কমিটি দীর্ঘায়িত করায় আগে থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে হল বিতর্ক সংগঠনগুলো। ডিউডিএসের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনিয়ম ও বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে তারা বারবার চিফ মডারেটর অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন ও মডারেটর শান্তা তাওহিদাকে অবহিত করলেও তারা বারবারই পক্ষপাতমূলক ও বর্তমান কমিটির অনিময়কে নীরবে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায়। হল সংগঠনগুলো চিফ মডারেটর কে গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বললে তিনি তা মানতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন বলে জানান বিতার্কিকরা।
এছাড়াও চীফ মডারেটর মাহবুবা নাসরিন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি হওয়ায় বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংগঠনের মডারেটর থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা৷
ডিউডিএসের সভাপতি মাহবুব মাসুম চুক্তি করে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন বলে তথ্য হাতে এসেছে প্রতিবেদকের। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেনের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক অভিযোগ। তাদের ভোট দিয়েছে এমন হলগুলো ছাড়া অন্য হলগুলোকে তারা ডিউডিএসে কোনঠাসা করে ফেলেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জিয়া হল ডিবেটিং ক্লাবের বিতার্কিক মোজাক্কির রিফাত বলেন, আমরা জিয়া হল তাদের ভোট দিইনি দেখে আমাদের আন্ত:হল প্রতিযোগিতায় রানারআপ হওয়ার ট্রফি তারা আমাদের দেয়নি। বিগত দুইবছরে কোনো আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় বিতর্ক করার সুযোগ পাইনি শুধু তাদের পছন্দের হলের বিতার্কিক নই বলে।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হোসেন বলেন, আমরা মডারেটর প্যানেলের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে নীরব সমর্থন দেয়াকে নিন্দা জানাই। অবিলম্বে মডারেটর ও চিফ মডারেটরের পদত্যাগ চাই।
বঙ্গবন্ধু হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি রেদওয়ান মোল্লা বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন না করে তারা যে প্রহসনের নির্বাচন সাজিয়েছে তা আমরা বয়কট করেছি। যতক্ষণ না আমাদের দাবী মানা হবে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন করব। আমাদের প্রাণের সংগঠনকে এভাবে নষ্ট হতে দেয়া যাবেনা।
হল সংগঠনগুলো নির্বাচন বয়কট করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উপাচার্যের হস্তক্ষেপের দাবী জানান। অবস্থান কর্মসূচি শেষে তারা একটি বিক্ষোভ নিয়ে টিএসসির মূল ফটকে অবস্থান নেয়।