বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেরোবিতে ‘শহীদি মার্চ’


রংপুর | Published: 2024-09-05 18:48:30 BdST | Updated: 2024-09-17 00:51:23 BdST

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের ‘স্বৈরাচারী’ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে শহীদদের স্মরণে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ছাত্র-জনতার ‘শহীদি মার্চ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সময় আবু সাঈদীর পরিবারের আবু সাঈদের হত্যার বিচার দাবি জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫ টায় আবু সাঈদ চত্বরে বেরোবির প্রধান ফটকের সামনে থেকে শহীদি মার্চের পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে নিহত আবু সাঈদের পরিবার, নিহত মানিক মিয়ার পরিবার, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ রংপুরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি, মাদরাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে৷

শহীদি মার্চের পদযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে শুরু হয়ে আবু সাঈদ চত্বর- মর্ডান মোড় হয়ে বেরোবি শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

এই সময় নিহত আবু সাঈদ বাবা বলেন, আমার ছেলের হত্যার হত্যার সাথে যারা জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ভিসি, শিক্ষক, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী যারা জড়িত আছে সবার বিচার চাই আমি। আবু সাঈদের নামে বিশ্ববিদ্যালয় যেন একটি হল, অডিটরিয়াম তৈরি করা হয়।

আন্দোলনে নিহত মানিক মিয়ার মা বলেন, "আমার ছেলে এখন কোথায় পাবো? আল্লার কাছে দোয়া ছাড়া আমার কিছুই নাই। এখন আমাদের পরিবার কিভাবে চলবে আল্লাহ জানে। " এই বলে কান্নায় ঢলে পড়ে।

বৈষম্য বিরোধে ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের দেশ পুনরায় কয়েক শত ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার মুক্ত করেছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের দাবি আমাদের দেশ যেন একটা দুর্নীতি, ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যমুক্ত , বৈষম্যমুক্ত, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সিন্ডিকেট মুক্ত সুন্দর একটা বাংলাদেশ উপহার দিয়ে যায়। যাতে আমাদের ভাইয়েদের রক্ত কোন ভাবে বৃথা না যায়। আমরা এমন একটা বাংলাদেশ দেখতে চাই যেখানে প্রতিটি মানুষ হাসিখুশি ভাবে চলাফেরা করতে পারেন।

উল্লেখ, গত ১৬ জুলাই দুপুর ২টার দিকে রংপুরের খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে আসেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ অন্তত ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় পুলিশের গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন।