চবিতে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও অপসারণ দাবি, তদন্ত কমিটি গঠন


চবি টাইমস | Published: 2017-11-08 16:54:02 BdST | Updated: 2024-05-19 08:46:13 BdST

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক আমীর উদ্দীনকে লাঞ্ছনা এবং তার অপসারণের দাবিতে ছাত্রলীগের একাংশের স্মারকলিপির প্রেক্ষিতে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) এ তদন্ত কমিটি দুটি গঠন করে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা যায়, শিক্ষককে অস্ত্র ঠেকিয়ে লাঞ্ছনার ঘটনায় প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে প্রধান করে দুই (০২) সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্য হলেন, সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ রিপন।

অন্যদিকে, ছাত্রলীগের স্মারকলিপির প্রেক্ষিতে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেবকে প্রধান করে চার (০৪) সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি তিন সদস্য হলেন, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এবিএম আবু নোমান, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষক নিয়োগ) মো. হাসান মিয়া।

এদিকে পৃথক কমিট গঠনের বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাইপ্রোফাইল দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে। প্রতিবেদন পাবাফ আগে ওই শিক্ষক দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম নীতিতে এরকম কোনো সুযোগ নেই। আইনের কারণে আমাদের হাত-পা বাঁধা।

প্রশাসনিক ভবনে হামলা-ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার অফিসের জানালার কাঁচ ভাঙাও দেখলাম। এসব ব্যাপারে কি ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া যায় তা আমরা আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

টিআর/ ০৮ নভেম্বর ২০১৭