তুচ্ছ ঘটনায় রাবি অধ্যাপককে পিটুনি


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2018-02-15 17:13:11 BdST | Updated: 2024-05-13 03:00:46 BdST

এবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক এনামুল জহিরকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অধ্যাপক এনামুল জহির রামেক হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক পিংকির সাথে তার একটু ধাক্কা লাগে। এতে নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক পিংকি তাকে অপমানজনক খারাপ কথা বলেন। তার কথার প্রেক্ষিতে ওই অধ্যাপক তাকে 'ননসেন' বলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ সময় পিংকি মোবাইল ফোনে বিষয়টি আরেক ইন্টার্ন চিকিৎসক কামালকে জানান। কামাল তখন অন্যান্য ইন্টার্ন চিকিৎসককে মোবাইলে ডেকে নিয়ে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ছুটে যান।

এদিকে অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত নার্সরা ওই অধ্যাপককে একটি রুমের মধ্যে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেন। কিন্তু ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ওই রুমের তালা ভেঙে অধ্যাপককে বাইরে বের করে ব্যাপক মারধর করেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেধড়ক মারধরে অধ্যাপক এনামুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে রাজপাড়া থানার ওসি তদন্ত গোলাম মোস্তফা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অধ্যাপককে উদ্ধার করেন।

অন্যদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারধরে আহত হলেও অধ্যাপক এনামুলকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানির পর রাতেই হাসপাতালের পরিচালক ঘটনাস্থলে যান। তারপরেও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা অধ্যাপক এনামুল জহিরের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ওই নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের অভিযোগ, তাকে খারাপ ভাষায় গালি দেওয়া হয়েছে। সে জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে। আর ওই শিক্ষকের দাবি তিনি কোনো খারাপ ভাষায় গালি দেননি।

এ বিষয়ে নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি তদন্ত গোলাম মোস্তফা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অধ্যাপককে উদ্ধার করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীর স্বজনকে মারধর করেন। ওই ঘটনার কয়েকদিন আগে আরেক রোগীর স্বজনকে মারধর করেন তারা। এভাবে গত এক বছরে একডজনেরও বেশি রোগীর স্বজনকে মারধর করলেও রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেননি। ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এই অবস্থা আরকতদিন? এ প্রশ্ন ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনদের।

ক্যাম্পাস টাইমস/ এসএম/ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮