জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলমের পুত্রের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগকে কেন্দ্র করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘গরু’ বলায় সমালোচিত হয়েছিলেন সহকারী রেজিস্ট্রার খন্দকার এহসান হাবীব। শিক্ষার্থীদের কটুক্তি করার অভিযোগ আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলমের পুত্র একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করেন। ভিসি পুত্র শিক্ষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবেন -এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তৎকালীন সহকারী রেজিস্ট্রার খন্দকার এহসান হাবীব সাবেক উপাচার্য পুত্র নিয়োগের পক্ষ নিয়ে পরোক্ষ ভাবে সমর্থন জানিয়ে ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন যেখানে ‘পাবলিকের গরু’ বলা হয় শিক্ষার্থীদের।
এই বক্তব্যের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ‘প্রাইভেট থেকে শিক্ষক নয়’ দাবির সাথে যোগ হয় এহসান হাবীবের পদত্যাগ এর দাবি। খন্দকার এহসান হাবীবের বক্তব্যকে কটুক্তি বলে আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মামলা দায়ের করে একাধিক শিক্ষার্থী। খন্দকার এহসান হাবীবকে আন্দোলনের মুখে সাময়িক ভাবে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগ কে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ ছিলো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, খন্দকার এহসান হাবীবের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষার্থীদের কটুক্তি করার অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
অন্যদিকে খন্দকার এহসান হাবীব বলেন, আমাকে আত্মপক্ষ আলোচনার সুযোগ না দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অন্তত তাই নির্দেশ করে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে কোন চিঠি পাননি বলে জানান খন্দকার এহসান হাবীব।
টিঅাই/ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮