জাককানইবিতে ‘যা নেই ভারতে’


সরকার আব্দুল্লাহ তুহিন | Published: 2018-02-20 17:32:13 BdST | Updated: 2024-05-19 07:37:07 BdST

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) মহাভারতের কাহিনী অবলম্বনে থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজবিভাগ মঞ্চায়ন করেছে মনোজ মিত্রের ভিন্নধর্মী নাটক ‘যা নেই ভারতে’। সহকারী অধ্যাপক মোঃ আল জাবিরের নির্দেশনায় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায়বিভাগের স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় এ নাটক।

মহাভারত আশ্রয় করে রচিত হলেও ‘যা নেই ভারতে’ নাটকে দেখা যায়- কুরুবংশের রানী তথাহস্তিনাপুরির রাজবাড়ির বধূদের কেউ স্বেচ্ছায় মাল্যদান করেনি। ভীষ্ম যুদ্ধকরে তার ভাই বিচিত্রবীর্যের হাতে তুলে দেন দুই নারী অম্বিকা ও অম্বালিকাকে।কারণ তিনি বিবাহ করবেন না। কিন্তু ভাই তরুণ বয়সে মারা যান। দেখা দেয়অস্তিত্ব সংকট বংশরক্ষায়। ভীষ্ম অম্বিকাকে অনুরোধ করেন পুত্রসন্তান ধারণকরতে। অম্বিকার আকাঙ্ক্ষা তিনি ভীষ্মের সন্তানের মা হতে চান। ভীষ্মেরবক্তব্য প্রতিজ্ঞাভ্রষ্ট হবেন না। নারীকে সেই পুরুষের ইচ্ছার কাছে নতজানুহতে হয়। ব্যাসদেবের সঙ্গে অম্বিকার বলপূর্বক মিলন হয়। সে মিলনে ব্যাসদেবেরপ্রতি না তাকানোয় জম্নহয় অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের। অম্বালিকার সঙ্গে মিলনেজন্ম নেয় পাণ্ডু। দাসীর গর্ভে জন্ম নেয় বিদুর। ব্যাসদেব এদের সবার পিতা। পরবর্তী সময়ে পাণ্ডুর পুরুষত্বহীনতা ও বনবাসের সিদ্ধান্ত, গান্ধারির জরায়ুবিনষ্টকরণ, এসবের ফলে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় আবির্ভূতহনঘোরতামাসাবৃত জন্মকথার পঞ্চপাণ্ডব। এসব মাতা, পুত্রদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, জয়-পরাজয়, দর্শনেরবিরোধ ও বৈপরীত্য নিয়েই ‘যা নেই ভারতে’।

নাটকটি মূলত ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার অংশ হিসেবে মঞ্চায়ন করা হয়েছে বলে ক্যাম্পাস টাইমস’কে জানান নির্দেশক মোঃ আল জাবির।

এসময় উপস্থিত ছিলেন থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজবিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইসমত আরা ভূঁইয়া ইলা, মুহাম্মদ রুহুল আমিন, মাজহারুল হোসেন তোকদার, ড. কামাল উদ্দীনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এসএম/ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮