রাবি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হল প্রাধ্যক্ষের জিডি


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2018-06-28 17:10:18 BdST | Updated: 2024-05-14 05:09:32 BdST

হত্যার হুমকি দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাংবাদিক মো. মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডিটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলাম। যদিও মেহেদী হাসান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার নগরীর মতিহার থানায় এই জিডি করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বুধবার সন্ধ্যায় এই খবর নিশ্চিত করেন।

জিডিতে জাহাঙ্গীর আলম উল্লেখ করেন, মো. মেহেদী হাসান দীর্ঘদিন ধরে শাহ মখদুম হলের এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি এক প্রাধ্যক্ষকে এক কোপে গলা কেটে নেওয়া, দায়িত্বরত ব্লক সুপারকে অফিসিয়াল কর্তব্য পালনকালে পেটানো এবং প্রয়োজনে গলা কেটে নেওয়ার হুমকি প্রদানসহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে চলেছেন। হলে অবৈধভাবে বসবাসকারী ও অছাত্র এই ব্যক্তির আপত্তিকর আচরণ, মিথ্যাচারের কারণে বিগত সময়ে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি আরো বেশি অনিয়ম, মিথ্যাচার, হুমকি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ অফিস কার্যক্রমে বাধা প্রদান করছেন তিনি।

এছাড়া একই অভিযোগে বুধবার দুপুরে ড. জাহাঙ্গীর আলম উপাচার্য বরাবর একটি অভিযোগও দিয়েছেন।

তবে হলের ‘সিট বাণিজ্যের’ সংবাদ করার জেরে এবং মানসিকভাবে হয়রানি করতেই এ জিডি করা হয়েছে বলে দাবি করে মেহেদী হাসান বলেন, তিন বছর আগে ‘হল প্রধ্যাক্ষকের প্রত্যক্ষ মদদে ছাত্রলীগের সিট বাণিজ্য’ শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাকে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর থেকেই হল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য তিনি আমার বিরুদ্ধে লেগে আছেন। বিভিন্ন সময়ে প্রাধ্যক্ষ আমার রুমে পিয়ন পাঠিয়ে মানসিক চাপ দিয়ে আসছিলেন। এসব বিষয়ে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে প্রাধ্যক্ষের সাথে সরাসরি ও মঠোফোনে কথা বলতে গেলে তিনি কথা বলতেন না। বরং তিনি শিক্ষকসুলভ আচরণ কখনোই দেখাননি। আমি হলের আবাসিক ছাত্র।

মেহেদী হাসান আরো বলেন, ‘গত ৪ জুন সকাল সাড়ে ৯টায় প্রাধ্যক্ষ কোনো নোটিশ ছাড়াই হল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। প্রাধ্যক্ষের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা না বলে হল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। ওই দিন এ বিষয়ে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহানকে মৌখিকভাবে জানালে তিনি হলে অবস্থানের জন্য অনুমতি দেন। কিন্তু হল প্রাধ্যক্ষ উপাচার্যের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে গত ২৫ জুন কোনো কারণ ছাড়াই হল ত্যাগের নির্দেশ দেন। এরপর দিন তিনি দুজন আবাসিক শিক্ষক, হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আমার রুমে এসে বিছানাপত্রসহ সবকিছু নিয়ে চলে যান এবং কক্ষে তালা দেন। এছাড়াও আমাকে নানা রকম অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। যা একজন শিক্ষক কখনোই ছাত্রের সঙ্গে এমন ভাষায় গালিগালাজ করতে পারেন না। তিনি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই আমার সাথে এসব করছেন।’

এদিকে সম্প্রতি হলে প্রায় দুই বছর ধরে বিপ্লব নামের এক কর্মচারী পদে না থাকলেও তাঁর নামে টাকা উত্তোলন করার অভিযোগে এই প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এমআর/ ২৮ জুন ২০১৮