জালিয়াতির অভিযোগে রাবির দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2017-08-29 15:54:25 BdST | Updated: 2024-05-14 11:14:08 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিএইচডি গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

রবিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে ৪৭২তম সিন্ডিকেট সভায় এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক তাদের গবেষণাপত্রে কোনো জালিয়াতি নেই বলে দাবি করেছেন।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সিন্ডিকেট সদস্য জানান, সিন্ডিকেট সভায় আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আনিসুর রহমান এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাসের পিএইডি গবেষণায় জালিয়াতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল লতিফকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন সিন্ডিকেট সদস্য ডা. রুস্তম উদ্দিন আহমেদ এবং ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আবু বকর মো. ইসমাইল।

তবে পিএইচডি গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুজন শিক্ষকই। আইন বিভাগের অধ্যাপক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমাকে ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে পিএইডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। গবেষণার বিষয় ছিলো ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা।’ ওই একই সময়ে অন্য একটি এমফিল গবেষণা প্রকাশিত হয়। তবে যিনি অভিযোগ দিয়েছেন তার আর আমার গবেষণার মধ্যে বিস্তর ফারাক।’

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘যখন অভিযোগের কথা শুনি, আমিই উপাচার্য স্যারকে অনুরোধ করেছিলাম একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য। তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে। আমার পিএইচডি গবেষণা নিয়ে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, কোন ধরনের জালিয়াতির প্রশ্নই আসে না। মূলত আমাকে হেয় করার জন্য এ ধরনের অভিযোগ দেয়া হয়েছে।’

এদিকে, বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ন্যূনতম ৪ দশমিক ৫০ এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ন্যূনতম ৩ দশমিক ৫০ ফলাফলের নিয়ম রাখা না রাখার বিষয়েও সিন্ডিকেট সভায় দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহাকে প্রধান করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি, কয়েকটি অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্যদের রেখে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সুপারিশের প্রেক্ষিতেই পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি আলোচনা হবে।

এসজে/ ২৯ আগস্ট ২০১৭