রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাস ছাড়লেন সেই ছাত্রলীগ নেতা


Desk report | Published: 2023-08-05 15:56:49 BdST | Updated: 2024-05-03 03:57:10 BdST

ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন মারধরে শিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্র মো. নজরুল ইসলাম।

শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী নিজেই। শুক্রবার রাত ৯টায় গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় পৌঁছান তিনি।

নজরুল ইসলাম রাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা ফজলুল হক হলে আবাসিক শিক্ষার্থী এবং হলা শাখা ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক।

নজরুল বলেন, আমি হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও ন্যায়বিচারের আশা পাইনি। সংবাদমাধ্যমে নিউজ হওয়ার পর আমাকে চাপে রেখেছেন অভিযুক্তরা। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। শেষমেশ ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে এলাম। এছাড়া আমি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমার কানের চিকিৎসা করাতে হবে। তাদের (অভিযুক্তদের) আশায় বসে থাকলে আমার হবে না। তারা আমার কোনো খোঁজখবরই রাখছে না। আমিতো আর আমার জীবনটাকে শেষ করে করে দিতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, আমার জীবন নিয়ে শঙ্কায় ভুগছিলাম। যেহেতু ঘটনার এখনো কোনো মীমাংসা হয়নি, সেহেতু কীভাবে কনফিডেন্স নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াবো। তারা তো আমাকে আবারও মারতে পারে। যেদিন মেরেছিল, সেদিনই হুমকি দিয়েছিল যে, ‘যদি কাউকে বলিস, তাহলে তোকে আবার মারবো।

ক্যাম্পাসে কবে ফিরবেন জানতে চাইলে নজরুল বলেন, যদি প্রশাসন আমাকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়, তাহলে আমি ক্যাম্পাসে ফিরবো। এর আগে নয়।

বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন নজরুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে-বাংলা-ফজলুল হক হলের গেস্ট রুমে মারধর করে কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ সায়েম জেমস এবং সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক উপ-সম্পাদক আল-আমিন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত আলফাত জেমস ও আল-আমিন। তারা বলেন, তৃতীয় পক্ষের প্ররোচনায় তাদের ফাঁসানোর জন্য এসব অভিযোগ করছেন নজরুল।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শেরেবাংলা ফজলুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ ড. হাবিবুর রহমান বলেন,
ঘটনাটি তদন্তের জন্য দুজন আবাসিক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অফিসিয়ালি এখনো দায়িত্ব না পেলেও তারা এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। একজন আবাসিক শিক্ষক ভুক্তভোগী নজরুলের সঙ্গে কথাও বলেছেন। আশা করছি তদন্তের মাধ্যমে মূল ঘটনা উঠে আসবে।