শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দলীয় কর্মীকে তুললেন ছাত্রলীগ নেতা


RU Correspondent | Published: 2023-09-01 02:05:38 BdST | Updated: 2024-05-02 21:00:28 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ শামসুজ্জোহা হলের এক বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীকে রুম থেকে বের করে দিয়ে দলীয় কর্মীকে তোলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. মাহতাব উদ্দিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ৩২৬ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী।

হল সূত্রে জানা যায়, শহীদ শামসুজ্জোহা হলের মেঘনা ব্লকের ৩২৬ নম্বর রুমটি বর্তমানে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহরিয়ার সৌরভ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাহতাবের বিছানাপত্র বাইরে বের করে দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা। যাওয়ার জায়গা না পেয়ে ওই রুমের সামনে বিছানাপত্র নিয়ে অবস্থান করছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, আমি ৩২৬ নম্বর রুম বরাদ্দ পেয়েছি। দুপুর আড়াইটার দিকে শহীদ শামসুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোমিন ইসলাম দলবল দিয়ে জোরপূর্বকভাবে আমাকে টেনেহিঁচড়ে রুম থেকে বের করে দেন এবং আমার কিছু মালামাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন। তারা আমাকে হুমকি দিয়েছেন যেন আমি আমার বরাদ্দকৃত ৩২৬ নম্বর রুম থেকে চলে যাই। কিন্তু আমি এখন কোথায় যাব। ফলে আমি রুমের সামনেই অবস্থান করছি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যখন তখন আমার ওপর হামলা করতে পারে। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিন ইসলাম বলেন, আমাদের হল প্রভোস্ট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ করে থাকেন। ছাত্রলীগ করে এমন কথা শুনলে তিনি কাউকে সিট বরাদ্দ দিতে চান না। ৩২৬ নম্বর কক্ষে আমাদের এক ছাত্রলীগ কর্মী তিন দিন ধরে অবস্থান করছিল। কিন্তু ওই ছেলে ছাত্রলীগ করে বলে তার বরাদ্দ বাতিল করে ওই সিটে মাহতাব নামে এক শিক্ষার্থীকে বরাদ্দ দেন হল প্রভোস্ট। ফলে ওই রুমে আমাদের কর্মীকে তুলতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. একরামুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। ৩২৬ নম্বর রুমটি মাহতাব নামে শিক্ষার্থীকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মাহতাবকে বের করে দেওয়ার বিষয়টি জানার পর আমি মোমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। মোমিন ওই কক্ষটি তাদের বলে দাবি করে। কিন্তু হলের সিট সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় হল প্রশাসন দেখবে, এটা ছাত্রলীগের দায়িত্ব না। যেহেতু ওই রুমটি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নামে বরাদ্দ, সেই সেখানে অবস্থান করবে।